জন্মদিন মানেই জোজো মুখোপাধ্যায়ের জীবনে উৎসব আর আবেগের মেলবন্ধন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তিন তলা কেক উপহার পেয়েছেন তিনি, এতটাই বড় যে আবাসনের ন’তলায় তোলা যায়নি। শেষ পর্যন্ত সেই কেক কাটার পরিকল্পনা হয়েছে মঞ্চানুষ্ঠানেই। ব্যস্ত দিনের মাঝেও গায়িকা জানালেন, জন্মদিন তাঁর কাছে শুধু কেক বা উপহার নয়, ভালবাসার মুহূর্তগুলোই আসল সম্পদ।
সাম্প্রতিক সময়ে জেলায় অনুষ্ঠান করতে গিয়ে লগ্নজিতা চক্রবর্তীর হেনস্থার ঘটনায় শিল্পীমহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জোজোর কণ্ঠে স্পষ্ট দৃঢ়তা। ভয় পাওয়ার প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, শিল্পীরা মানুষের আনন্দের জন্য মঞ্চে ওঠেন। বিনিময়ে অপমান বা হুমকি পেলে তা শুধু দুঃখজনক নয়, শিল্প সংস্কৃতির জন্যও অশুভ বার্তা। তবু গান থামবে না, সুরের পথেই তাঁর এগিয়ে চলা।
কথা বলতে বলতে শৈশবে ফিরে যান জোজো। খুব অল্প বয়সে বাবা মায়ের বিচ্ছেদ হলেও ভালবাসার অভাব হয়নি কখনও। মা পাড়ায় প্যান্ডেল করে জন্মদিন পালন করতেন, বাবা আবার আঠারো বছরে বড় করে উদযাপন করেছিলেন। নিজের চল্লিশ বছরে পা দেওয়ার সময় একবারই তিনি নিজে জন্মদিনের আয়োজন করেছিলেন। তাই আজও কেউ জন্মদিন মনে রাখলেই তাঁর চোখে জল আসে।
খ্যাতনামী অভিনেতা মৃণাল মুখোপাধ্যায়ের কন্যা হয়েও অভিনয়ের জগতে দীর্ঘ দৌড় দেননি জোজো। প্রভাত রায় সন্দীপ রায় অঞ্জন দত্তের ছবিতে কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত গানকেই বেছে নেন। তাঁর মতে, অভিনয় আর গান দুটিই এমন পেশা যেখানে পুরো সময় দিতে হয়। পাশাপাশি নিয়মিত মঞ্চানুষ্ঠানের কারণে পর্দার তারকাখ্যাতি ধরে রাখা কঠিন ছিল। একসঙ্গে বহু কাজ করার মানসিকতাও তাঁর নয়।
আরও পড়ুনঃ “আমার মেয়ের এক রাতের রে’ট বোঝার ক্ষমতা এখনও কারও হয়নি…আমার সন্তানেরটা জানার আগে নিজের মায়েরটা জানাও, কোথায় পাঠিয়েছো দেখাও!” কৃষভিকে নিয়ে নোংরা ক’টাক্ষে বিস্ফো’রক শ্রীময়ী! সমাজ মাধ্যমে আক্রমণের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা শ্রীময়ী-কাঞ্চনের!
ব্যক্তিজীবনেও জোজো সমান স্পষ্ট। মেয়ের জন্মের পর পুত্রসন্তান দত্তক নিয়েছেন তিনি। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, সন্তান দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা বরাবরই ছিল। অকারণে অর্থ ব্যয়ের বদলে কোনও শিশুকে ঘর পরিবার আর ভালবাসা দেওয়া তাঁর কাছে অনেক বেশি মূল্যবান। ক্ষমতা থাকলে আরও কয়েকজন শিশুকে দত্তক নিতেন বলেও অকপটে জানিয়েছেন এই গায়িকা।
