২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে নানা টানাপোড়েন আর বিতর্কের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ধারাবাহিক চিরদিনই তুমি যে আমার অল্প সময়েই বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম আলোচিত গল্প হয়ে উঠেছে। একাধিক পরিবর্তন চরিত্রের টান টান সম্পর্ক আর অপ্রত্যাশিত মোড় এই ধারাবাহিককে আলাদা জায়গা করে দিয়েছে দর্শকের মনে। শুধু গল্প নয় অভিনেতাদের সাবলীল অভিনয়ও ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তার বড় কারণ। সাম্প্রতিক পর্বে আর্য এবং অপর্ণার বিয়ে দেখানো হয়েছে আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছে নতুন নাটকীয়তা। গায়ে হলুদ থেকেই একের পর এক সমস্যার ইঙ্গিত মিলছিল যা দর্শকের কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দেয়।
বিয়ের পর ভাতকাপড়ের অনুষ্ঠানেই এবার ঘটল বড় চমক। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে পরিবার পরিজনের সামনে ভাতকাপড়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছে। আর্যর ভাইয়ের স্ত্রী আর্যের হাতে ভাতকাপড়ের থালা তুলে দিয়ে অপর্ণাকে দেওয়ার কথা বলতেই পরিস্থিতি বদলে যায়। সবাই যখন ধরে নিয়েছে আর্য স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে তখনই সে সম্পূর্ণ আলাদা পথে হাঁটে। ভাতকাপড়ের থালার বদলে আর্য অপর্ণার হাতে তুলে দেয় এক গুরুত্বপূর্ণ উপহার যা দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়।

সেই উপহার আসলে অপর্ণার প্রমোশনের কাগজ। আর্য ঘোষণা করে অপর্ণাকে তাদের কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বসানো হয়েছে। তার বক্তব্য এখন থেকে অপর্ণা নিজেই নিজের দায়িত্ব নেবে তাকে আর ভাতকাপড়ের প্রতীকি আশ্বাসের প্রয়োজন নেই। স্বামীর কাছ থেকে বউভাতের সকালে এমন উপহার পেয়ে অপর্ণা রীতিমতো হতভম্ব হয়ে যায়। সম্মান আর বিশ্বাসের এই বার্তা তাদের সম্পর্ককে কোন দিকে নিয়ে যাবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।
তবে গল্প এখানেই থেমে নেই। ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে আর্যর প্রথম স্ত্রী রাজনন্দিনীর প্রত্যাবর্তনের। আর্য এবং তার মা মাঝে মাঝেই অপর্ণার মধ্যে রাজনন্দিনীর ছায়া দেখতে পাচ্ছে। অন্যদিকে অপর্ণাও অদ্ভুতভাবে এক অচেনা নারীর উপস্থিতি অনুভব করছে এবং বলছে তার নাকি আগেও বিয়ে হয়েছিল। এই মানসিক টানাপোড়েন আর রহস্য গল্পকে আরও জটিল করে তুলছে যা দর্শকের আগ্রহ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ প্রোমো, প্রচার, বিয়ের জাঁকজমকের পরেও টিআরপিতে ভরাডুবি! দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আর্য-অপর্ণার বিয়েতেও লাভ হল না! দিতিপ্রিয়া সরে দাঁড়ানোর পর ঝামেলা মেটার কথা ছিল, তবুও টিআরপিতে শীর্ষ পাঁচ থেকে ছিটকে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ প্রতিপক্ষ ধারাবাহিকের কাছে স্লট হারাল!
প্রসঙ্গত চিরদিনই তুমি যে আমার ধারাবাহিকটি প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত হয়। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন জিতু কামাল এবং শিরিন পাল। আগে অপর্ণার চরিত্রে দিতিপ্রিয়া রায়কে দেখা গেলেও তিনি ধারাবাহিক ছাড়ার পর শিরিন এই দায়িত্ব নেন। থিয়েটার জগতের পরিচিত মুখ শিরিনের এটি ছোটপর্দায় প্রথম কাজ। ধারাবাহিকটি বর্তমানে টিআরপি তালিকার সেরা দশে নিজের জায়গা ধরে রেখেছে এবং এই গল্পের হাত ধরেই দীর্ঘদিন পর টেলিভিশনে ফিরেছেন জিতু কামাল।
