জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

পার্নোর দল বদলে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হলো বিজেপির শিবির? তারকা মুখ হয়ে তৃণমূলে কি তবে টিকিট পেতে চলেছেন দল বদলানো নায়িকা? কি বলছে টলিপাড়া?

বছরশেষে বড় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের আলোচনার কেন্দ্রে অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনীতি ও বিনোদন দুনিয়া সরগরম। টলিউডের অন্দরেও এই সিদ্ধান্ত ঘিরে নানা মত উঠে আসছে। সহ অভিনেতা অভিনেত্রীদের কেউ সমর্থনে মুখর, কেউ আবার বিষয়টিকে খুব বড় কোনও রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে দেখতে নারাজ।

পার্নোর দলবদল বিজেপিকে আদৌ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করল, তা নিয়ে স্পষ্ট মত দিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তাঁর কথায়, ২০২১ সালের নির্বাচনের পর পার্নোর সঙ্গে বিজেপির কার্যত কোনও সক্রিয় যোগাযোগ ছিল না। তিনি মনে করেন, পার্নো মূলত অভিনয় নিয়েই থাকতে ভালবাসেন এবং রাজ্য রাজনীতির জটিল সমীকরণে তিনি বিশেষভাবে জড়িত নন। রুদ্রনীলের আক্ষেপ, সমাজমাধ্যমে সচেতন উপস্থিতি না থাকায় অনেক সময় মানুষকে ভুল পথে চালিত করা সহজ হয়।

অন্য দিকে পার্নোর এই সিদ্ধান্তকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন রূপাঞ্জনা মিত্র। তাঁর মতে, রাজনৈতিক মত বদল একান্তই ব্যক্তিগত বিষয় এবং এর জন্য কাউকে আক্রমণ করা অনুচিত। সহকর্মী হিসেবে তিনি পার্নোর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, বিজেপি এখনও বাংলায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি, তাই পার্নোর সিদ্ধান্তকে বাস্তবসম্মত বলেই মনে হয় তাঁর কাছে।

রূপা ভট্টাচার্যও বিষয়টিকে ব্যক্তিস্বাধীনতার চোখে দেখছেন। এক সময় তিনি নিজেও বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, পরে রাজনীতি থেকে সরে আসেন। তাঁর বক্তব্য, একজন মানুষ যদি নিজের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী পথ বদলান, তা নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার কারও নেই। এই পরিবর্তন পার্নোর জীবনে শান্তি ও স্থিতি আনুক, এই কামনাই করেছেন তিনি।

বর্ষীয়ান অভিনেতা ভরত কলের প্রতিক্রিয়াও ইতিবাচক। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তিনি মনে করেন, রাজ্যের মানুষের সামনে বিকল্প পথ ক্রমশ সীমিত হয়ে আসছে। সব মিলিয়ে পার্নো মিত্রর দলবদল নিয়ে রাজনৈতিক লাভ লোকসানের হিসাবের থেকেও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page