টলিউড ও সোশ্যাল মিডিয়ার বর্তমানে পরিচিত মুখ ইনফ্লুয়েন্সার সোহিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবন সাম্প্রতিক সময়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। কিছু মাস আগে সন্তান হারানোর যন্ত্রণার দাগ কাটানোর আগেই তিনি আবারও হাসপাতালের পথে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সোহিনী জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়।
সোহিনী পোস্টে লিখেছেন, সি-সেকশন অপারেশনের প্রায় ৯০ দিন পর গলব্লাডারে স্টোন অপারেশন করাতে হয়েছিল। কিন্তু শুধু তাই নয়, হরমোনাল ডিসব্যালেন্স, স্ট্রেস, ট্রোমা, প্যানিক অ্যাটাক ও ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াইও এখন তাঁর দৈনন্দিন জীবনের অংশ। তিনি জানিয়েছেন, শারীরিক যন্ত্রণা এতটাই বেশি ছিল যে পুজোর সময়ও উঠে বসা বা শোয়ার মতো সাধারণ কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়েছিল।
সন্তান হারানোর শোক এখনও সোহিনীর মন ও শরীরে গভীর প্রভাব ফেলছে। তাঁর পোস্ট থেকে স্পষ্ট, এই মানসিক যন্ত্রণা তাঁর দৈহিক স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন অসহ্য শারীরিক যন্ত্রণা ও মানসিক কষ্টের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এখনো ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছি।”
অবশ্যই, সোহিনী তার ভক্তদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি স্বাভাবিকভাবে পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় আছেন। তবে আপাতত পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় কাজে ফেরার সময় নির্ধারণ করতে পারেননি। তাঁর খোলামেলা স্বীকারোক্তি সামাজিক মাধ্যমে বিপুল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুনঃ “আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি না, আমি কর্মে বিশ্বাস করি, আমার মন যেটা বলে আমি সেটাই করি”—অকপট জিৎ!অভিনেতার সাফল্যের নেপথ্যে কি তবে ভাগ্যের কোনও ভূমিকাই নেই? নিজের স্পষ্ট বক্তব্যেই বর্তমান প্রজন্মের জন্য শিক্ষামূলক বার্তা তুলে ধরলেন টলিউড কিংবদন্তি!
সোহিনীর এই পোস্ট অনেকের মনকে ছুঁয়ে গেছে। মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও শারীরিক সুস্থতার প্রতি সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি, এই গল্প আমাদের শেখায়, বড় ব্যথা ও শোকের মাঝেও ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার সম্ভব। সোশ্যাল মিডিয়ায় সোহিনীর খোলামেলা বর্ণনা আবারও প্রমাণ করেছে, কোনো মানুষই একা লড়াই করে না, সমর্থনের শক্তিই বড় প্রেরণা হয়ে ওঠে।
