মিঠাই ধারাবাহিকে এখন ধামাকেদার একটা পর্ব চলছে। যদিও পর্ব না বলে একে মোদক পরিবারের একটা কঠিন অধ্যায় হিসেবে বলা যায়। পরিবারের সব থেকে প্রাণবন্ত মানুষটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এতক্ষণে আশা করি আপনারা ধরেই নিয়েছেন কার কথা বলা হলো। হ্যাঁ, শুধু জি বাংলা নয়, প্রতিটি বাঙালি পরিবারের আদরের মিঠাই রানী এখন হাসপাতালে ভর্তি। ওমি আগরওয়ালের বন্দুক থেকে গুলি লেগে মাটিতে পড়েছিল মিঠাই। তা দেখে একেবারে হাহুতাশ করে উঠেছিল বাঙালি দর্শক।
সকলেই ধরে নিয়েছিল এই যাত্রা হয়তো আর রক্ষা পাবে না মিঠাই। তাই তাদের মনে প্রশ্ন জেগেছিল এতদিন ধরে বরাবর শীর্ষস্থানে থাকা একটা দারুণ ধারাবাহিক কি তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে?
অবশেষে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে তারা। আপাতত স্বস্তি। কিন্তু চিন্তা একটাই মিঠাই যে কোমায় চলে গেল। বাড়ির কেউ শান্তিতে দু চোখের পাতা এক করতে পারছে না।
অন্যদিকে মিঠাইয়ের উচ্ছে বাবু নানা ধরনের পন্থা অবলম্বন করে চলেছে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে। শুধু তাই নয় তার পাশাপাশি সঙ্গ দিয়েছে হল্লা পার্টি। গত পর্বে দেখা গেছে গান গেয়ে তারা মিঠাইকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল। দাদুও ছিল সেখানে। কিন্তু সমস্ত পরিশ্রম বৃথা হয়ে গেল।
এখন অবধি জ্ঞান ফেরেনি মিঠাইয়ের। এদিকে মোদক পরিবারের পাশাপাশি কিন্তু মিঠাইয়ের ভক্তরাও নানা ভাবনা চিন্তা করে চলেছে যে কিভাবে তাকে বাঁচিয়ে তোলা যায়। মিঠাইয়ের এক একনিষ্ঠ ভক্ত একটি নিদারুণ পরিকল্পনা শেয়ার করলো।
সে বলেছে এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। তবে সে শেয়ার করেছে যে যদি এরকম হত যে সিড মিঠাই যে গোপাল ঠাকুরকে পুজো করে সেই গোপাল মূর্তির সামনে গিয়ে কাতর বিনোদন করে যে নিজের প্রাণের চেয়েও যে গোপালকে ভালোবাসে তাকে সুস্থ করে দিতেই হবে তাকে। এই বলে সে গোপাল ঠাকুরকে নিয়ে ছুটে যাবে হাসপাতালে আর মিঠাইয়ের বিছানার পাশে গিয়ে গোপাল ঠাকুরকে রেখে দেবে।
এখানেই শেষ নয়, তারপরে গোপাল ঠাকুরের সামনে হাত জোড় করে উচ্ছেবাবু গাইবে নয়নে নয়নে রাখি তোমারে। তার চোখ থেকে যেই জল পড়বে সেই জল হাতে লেগে মিঠাইয়ের আবার জ্ঞান ফিরে আসবে। মিঠাই হাত নাড়াবে, আর আলতো করে চোখ খুলে উচ্ছে বাবু বলে ডেকে উঠবে। তখন সিড উত্তর দেবে এইতো আমি তোমার উচ্ছে বাবু।
সত্যিই কেমন হবে যদি এরকমটা হয়? এটা তো মিঠাইয়ের সেই ভক্ত কল্পনা করেছে কিন্তু বাস্তবে যদি এমনটা হতো তাহলে আপনাদের কেমন লাগত?