বাংলা তথা গোটা ভারতের কাছেই সুরের জাদুকর হিসেবে পরিচিত কিশোর কুমার। আজ তাঁর জন্মবার্ষিকী। যদিও এই গায়কের শ্রদ্ধা জানাতে একটা দিন যথেষ্ট নয়। বরঞ্চ বছরের প্রতিটি দিনেই প্রতিটি মুহূর্তে আমরা নানাভাবে গুনগুন করি কিশোর কুমারের গাওয়া অজস্র গান।
বাঙালি এবং হিন্দি সংগীতপ্রেমীদের জন্য প্রচুর হিট গান উপহার দিয়েছেন এখন অবধি কিশোর কুমার। গানের জগতে তিনি অবিস্মরণীয়। সেই স্থান আজ অবধি পূরণ করতে পারেননি কেউ। তবে গায়ক হবার পাশাপাশি তিনি কিন্তু একজন গীতিকার সুরকার চলচ্চিত্র পরিচালক অভিনেতা এবং চিত্রনাট্যকারের দায়িত্ব সামলেছেন।
কিন্তু সংসার জীবন ঠিক করে করতে পারলেন না এই স্বনামধন্য গায়ক। চারটে বিয়ে করেছেন তিনি। তাঁর চার স্ত্রীই এক একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। কিন্তু কারোর সঙ্গেই সুখের সংসার করতে পারেননি তিনি।
১৯৫০ সালে সত্যজিৎ রায়ের ভাইজি এবং গায়িকা ও নায়িকা রুমা গুহ ঠাকুরতাকে প্রথম বিয়ে করেন কিশোর কুমার। সমাজকর্মী হিসেবেও বেশ সুখ্যাতি ছিল রুমার। বিয়ের দুই বছর পর জন্ম নেন সন্তান অমিত কুমার। এদিকে তারপরেই কিশোর কুমার চেয়েছিলেন স্ত্রী যেন সংসার ও ছেলের প্রতি সমস্ত ধ্যান-জ্ঞান দেন। অভিনেত্রী রুমা সেটা চাননি এবং সেই থেকেই সম্পর্কের অবনতি হতে হতে বিয়ের আট বছরের মাথায় বিচ্ছিন্ন হন দুজন।
১৯৬০ সালে মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার। যদিও খবর ছিল যে মধুমালার সঙ্গে সম্পর্ক শুরু হয়েছিল রুমা গুহ ঠাকুরতার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন মধুবালা।
তারপরে কিশোর কুমার বিয়ে করেছিলেন ১৯৭৬ সালে অভিনেত্রী যোগিতা বালিকে। এটি ছিল তৃতীয় বিয়ে কিন্তু মাত্র দু বছরের মাথায় সেটা ভেঙে যায়।
শেষবার গায়কের জীবনে আসেন লীনা। বিয়ের দু’বছর পর জন্ম নেন সুমিত কুমার। এরপর ১৯৮৭ সালে মারা যান কিশোর কুমার।