বেশ কিছু বাংলা ধারাবাহিক থাকে যেগুলো শেষ হয়ে গেলেও দর্শকরা সেগুলিকে ভুলতে পারে না। এক সময় এমনই এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক হয়ে উঠেছিল বোঝে না সে বোঝে না।
এই ধারাবাহিকের হাত ধরে টেলিভিশন দুনিয়ায় প্রথমবার আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার এবং নায়ক যশ দাশগুপ্ত। পাখি এবং অরণ্য এই দুটি দর্শকদের অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেই সময় এই জুটি বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় ঝড় তুলেছিল। ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেলেও দর্শকরা এখনো ভুলতে পারেনি তা।
বর কনে দুজনে বিয়ের মন্ডপে হাজির। শুভদৃষ্টি হয়ে গেছে তার সঙ্গে মালা বদল শেষ। এবার সিঁদুর দানের পালা। কিন্তু তার সাথেই হবু বউয়ের প্রাক্তন প্রেমিক এসে হাজির। সে এসে ঝামেলা করছে। বরের পা ধরে কান্নাকাটি করে, অনুরোধ করে। কিন্তু বর কিছুতেই মানবে না। তাই মনের দুঃখে হবু বউয়ের প্রাক্তন প্রেমিক পালাতে যাবে ঠিক সেই সময় বুকে লাগে গুলি আর সে মাটিতে লুকিয়ে পড়ে। কিন্তু এখানে রয়েছে বড় এক টুইস্ট।
অরণ্য মুখ ঘুরিয়ে দেখে গুলিটা আসলে তার লেগেছে। এই নিয়ে যখন চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ঠিক সেই সময়ে ফ্লাস প্যাকে দেখা যায় গুলি প্রথমে সাদা শার্ট পরা ব্যক্তির গায়ে লাগে। সেখান থেকে গুলি এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে ঢুকে যায় অরণ্যের কাঁধে। আর এখানেই প্রশ্ন যে মানুষ রোগা বলে যা নয় তাই হবে?
এদিকে আবার বরের গায়ে লাগা রক্ত ছিঁটকে গিয়ে হবু বউয়ের সিঁথিতে গিয়ে পড়ে এবং সেই সিঁথি ভরে যায় রক্তে। রক্তাক্ত সিঁদুর দান হতেই বর আস্তে আস্তে পেছোতে থাকে আর সেটা সবাই হা করে দেখতে থাকে কিন্তু কেউ বাঁচাতে আসে না। অবশেষে ঠিক বর উল্টে পড়বে সে সময় বউ ছুটে আসে এবং তাকে ধরতে গিয়ে তার পরনের গয়না ধরে টান মারলেও রক্ষা করা যায় না বরকে। শেষমেষ অরণ্য পড়ে যায় জলে।
আসলে এই গোটার বিষয়টার মজা করে বিশ্লেষণ করেছে জনপ্রিয় ইউটিউবার যার নাম অ্যামিউজিং রি। বিভিন্ন ধরনের রোস্ট ভিডিও তৈরি করে সে। আর এবার বেছে নিয়েছে বোঝে না সে বোঝে না ধারাবাহিককে। ভিডিওটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।