বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গাপুজো আসতে আর বেশি দিন বাকি নেই।। দুর্গাপূজো আসার আগেই আসে মহালয়া। মহালয়ার দিন রেডিও এবং টিভিতে মহিষাসুরমর্দিনীর গল্প শোনানো বা দেখানো হয়। যা বাঙালি ছোট থেকে দেখে শুনেই বড় হয়েছে। তাই সারা বছর বাড়ির রেডিওটি কোণে পড়ে থাকলেও মহালয়ার আগে তা বেরিয়ে আসবে ঠিকই।
তবে আজ কাল মানুষ অনেকটাই উন্নত হয়েছে তাদের জীবন ধারণের পন্থা উন্নত হয়েছে, অনেকের বাড়িতেই এখন রেডিও দেখা যায় না। তারা টিভির পর্দাতেই মহালয়া দেখে সন্তুষ্ট হন।
তাই আজকাল টিভির জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি মহালয়া নিয়ে অনুষ্ঠান করে। সেই অনুষ্ঠানে তারা টিভির অনেক জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মা দুর্গার রূপে সজ্জিত করেন।সেভাবে এ বছরও স্টার জলসা, জি বাংলা, কালার্স বাংলা প্রত্যেকেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। যেখানে জি বাংলার অনুষ্ঠানের নাম দিয়েছে “সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী”।
যেখানে দেবী দুর্গার ভূমিকায় অভিনয় করছে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। আর তার সাথে অন্যান্য দেবীর ভূমিকা রয়েছে জি বাংলা ধারাবাহিকের অভিনেত্রীরা। এখানে মহাদেবের ভূমিকায় রয়েছে রুবেল দাস।জি বাংলার মহালয়ার অনুষ্ঠানের প্রমো সামনে আসার পর থেকেই একাধিক সমালোচনার শিকার হয়েছে এটি।
তবে এবার মানুষ ট্রোলড হওয়ার সাথে সাথে সমালোচনাও করছে এই মহালয়ার অনুষ্ঠানটির। দেবী দুর্গার মহালয়ার গল্পের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল মহিষাসুর। যাকে বধ করে দেবী দুর্গা সারা পৃথিবীতে নিজের মহিষাসুরমর্দিনী রূপটাকে প্রকাশ করেছিলেন। যার আরাধনা হয় বাঙালির ঘরে ঘরে। তবে আজকাল মহালয়ার যে প্রোগ্রামটি হয় তাতে প্রত্যেকটি চ্যানেল তাদের নিজের নিজের মত করে পরীক্ষা করে দেবী দুর্গা আর মহিষাসুরের লুক নিয়ে।
এইভাবে জি বাংলার মহালয়ার প্রোগ্রামটি যখন প্রথম প্রমো বেরোয় সেখানে শুভশ্রীর দেবী দুর্গার লুকটি দেখে দর্শকরা ট্রোল করেছিল। এবার অসুরের রূপ দেখে দর্শক তো হেসেই খুন।
এখানে অসুরকে দেখানো হয়েছে সবুজ এবং লাল রঙের। দর্শককে সবুজ অসুরকে দেখে মনে করতে হয়েছে করোনার কথা আর লাল অসুরকে দেখে মনে করতে হয়েছে টমেটোর কথা।সবুজ অসুরটির মাথায় খোঁচা খোঁচা কাটা থাকার জন্য দর্শকরা বলছে মা দুর্গা তবে আজকাল করোনাসুরের বধ করছে!
এই নিয়ে নেট মাধ্যমে একাধিক মিমেরও উৎপত্তি হয়েছে। তার সঙ্গে কিছু মানুষ তীব্র সমালোচনা করেছে। কারণ তাদের মতে হিন্দু পুরাণকে নিয়ে এইভাবে মজা করা উচিত হয়নি জি বাংলার।ক্রিয়েটিভ ফ্রিডম থাকা মানে উল্টোপাল্টা জিনিস করা নয়।