জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দু’বছর পার! ক্যান্সার তাকে কেড়ে নিয়েছে আমাদের থেকে, টেলিভিশনের তারকা থেকে প্রেম ও যুদ্ধে বিজয়ের গল্প, স্মৃতিচারণায় ঐন্দ্রিলা

ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma), বাংলা টেলিভিশন (Television) জগতের এক প্রখ্যাত অভিনেত্রী। ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর অসুস্থতার কারণে মৃ’ত্যু বরণ করেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান, এবং তাঁর এই অকাল প্রস্থান বাংলা বিনোদন জগতের এক বিশাল ক্ষতি। ঐন্দ্রিলা শর্মা তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলো ক্যান্সারের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ে কাটিয়েছিলেন। তিনি কখনই আত্মবিশ্বাস হারাননি এবং তাঁর প্রতিটি মুহূর্তে নতুন করে সংগ্রাম করার প্রেরণা দিয়েছিলেন।

ঐন্দ্রিলা শর্মার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল ছোট পর্দায়, এবং খুব শীঘ্রই তিনি দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নেন। তাঁর অভিনীত কিছু জনপ্রিয় সিরিয়াল যেমন “ঝুমুর”, “কৃষ্ণকলি” এবং “কী করে বলব তোমায়” দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়। ঐন্দ্রিলার প্রতিটি চরিত্র ছিল স্বতন্ত্র এবং গভীর, যা তাঁকে অভিনয় জগতে বিশেষ এক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। তাঁর মিষ্টি হাসি এবং দক্ষ অভিনয় তাঁকে ভক্তদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় করে তোলে।

ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রেমিক ছিল অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, যাঁর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল এক নিখুঁত প্রেম কাহিনীর মতো। তাঁরা একে অপরের পাশে থাকতেন সব সময়, বিশেষ করে ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার সময়। সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর এবং তাঁরা একে অপরকে সমর্থন করে জীবনের চড়াই-উতরাই পার করছিলেন। সব্যসাচী তাঁর ভালোবাসা এবং সহানুভূতির মাধ্যমে ঐন্দ্রিলাকে অনেক সহায়তা করেছিলেন, এবং তাদের সম্পর্ক সত্যিই এক অনন্য মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়।

ঐন্দ্রিলার পরিবারও ছিলেন তাঁর জীবনের একটি বড় সমর্থন। তিনি তাঁর পরিবারকে খুব ভালোবাসতেন এবং পরিবারও সবসময় তাঁর পাশে ছিল। বিশেষ করে তাঁর মা, যিনি সবসময় তাঁর চিকিৎসা এবং সুস্থতা নিয়ে চিন্তা করতেন, ছিলেন ঐন্দ্রিলার অন্যতম শক্তির উৎস। অভিনেত্রীর পরিবার তাঁকে নিয়ে গর্বিত ছিল এবং তিনি সবসময় পরিবারকে তাঁর সাফল্য ও ভালোবাসার কথা জানাতে আগ্রহী ছিলেন।

ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যু শুধুমাত্র তাঁর পরিবার ও প্রেমিকের জন্য নয়, বরং পুরো বাংলা বিনোদন জগতের জন্য এক বিরাট শোকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর স্মৃতি এবং কর্ম আজও মানুষের মনে জীবন্ত। যদিও তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁর অভিনয় এবং প্রেরণামূলক জীবন দর্শকদের মনে চিরকাল অমর থাকবে।

TollyTales NewsDesk

                 

You cannot copy content of this page