জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

বাবাকে হারিয়েছেন ছোট্ট বয়সে, ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার থেকে হয়ে উঠেছেন সিরিয়ালের নায়ক! সার্থক স্যারের মনের মানুষ কী তবে স্রোত?

জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরাতে ( Mithijhora ) তিন জুটির গল্প দেখানো হয়। এর মধ্যে দুই জুটি হল রাই অনি ও নীলু শৌর্য্য। তৃতীয় জুটি হল সার্থক স্রোত। ধারাবাহিকে সার্থক সেনগুপ্ত একজন ডাক্তার। স্রোতের কলেজের প্রফেসর তিনি। এই চরিত্রটিতে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মৈনাক ঢোল ( Mainak Dhol )। দর্শক প্রথম থেকেই সার্থককে একটু বদমেজাজি স্যার হিসেবে দেখছেন। প্রথমদিকে সে স্রোতের সাথে বারবার খারাপ ব্যবহার করত। কিন্তু এই খারাপ ব্যবহারের আড়ালে স্রোতের প্রতি তার মনের মধ্যে একটা দুর্বলতা তৈরি হয়ে গেছে।

যে কারণে যতবার বিপদে পড়ে স্রোত ততবার সার্থক তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তবে সামনাসামনি দেখা হলে তারা সবসময় একে অন্যের সাথে ঝগড়াই করে। সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে উজ্জ্বলবাবু মুখচোরা সার্থকের গোপন ভালোবাসাকে প্রকাশ করানোর জন্য এক সুন্দর পরিকল্পনা করেছেন। আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি স্রোতের বিয়ের আয়োজন করেছেন তারই বন্ধুর ছেলের সাথে। উজ্জ্বল বাবুর বিশ্বাস এই পরিকল্পনার ফলেই সার্থক নিজের মনের কথা স্রোতকে বলবে আর দুজনের চার হাত এক করে দেওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু এ তো গেল সার্থকের কথা অভিনেতা মৈনাকের মনের মধ্যে কে আছে? সেটা জানে অভিনেতার মা।

Krishna Kishor Mukherjee will no longer be seen in Mithijhora serial.

হ্যাঁ, অভিনেতা বেশ কিছুদিন আগে দিদি নাম্বার ওয়ানে এসেছিলেন। সেখানে তার কর্ম জীবনের শুরু থেকে ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কথা তিনি আলোচনা করেন। অভিনেতা আসলে হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রথম জীবনে তিনি প্রফেশনাল ড্যান্সার হিসেবে কাজ করতেন , এমনকি ডান্স বাংলা ডান্সের ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার‌ও ছিলেন তিনি, এরপর অ্যাক্রোপলিসে অডিশন দিয়ে কাজের সুযোগ পান। কালার্স বাংলার ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, আকাশ আটের ‘মিষ্টু’ ইত্যাদি ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল মৈনাককে। স্টার জলসার ‘ওগো নিরুপমা’ ও জি বাংলার ‘রিমলি’ তে তিনি ছিলেন পার্শ্ব চরিত্র রূপে।

তবে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ করার পর ও ‘মিষ্টু’র আগে স্টার জলসার ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকে অল্প কিছুদিনের জন্য হলেও রামপ্রসাদ সেনের বংশধরের চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেতা। চরিত্রটি মুখ্য চরিত্র ছিল, চরিত্রের নাম ছিল রাখালচন্দ্র সেন। এই চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেতা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,“ এমন একটা ক্যামিও রোল আমি আগে কখনও করিনি । একজন অভিনেতার সব ধরনের চরিত্রই শিখে রাখা দরকার বলে মনে করি আমি । এটা বেশ অন্যরকম ।” তবে ছোট পর্দায় অভিনয় করার পাশাপাশি করোনার গৃহবন্দী সময়ে শর্ট ফিল্ম বানিয়েছিলেন অভিনেতা, সেইসময় বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা।

শিক্ষাগত যোগ্যতা যথেষ্ট হওয়া সত্ত্বেও মৈনাক চাকরি করতে চাইতেন না, কারণ তিনি অভিনয়ের জগতেই আসতে চেয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন মা হলেন তার একমাত্র বন্ধু, ভালো মন্দের সঙ্গী। কারণ এর আগে ২০০৭ সালেই তার বাবা মারা গিয়েছেন। মৈনাকের কর্মজীবনে এত সাফল্য তার বাবা দেখে যেতে পারেননি বলে অভিনেতার মনের মধ্যে আক্ষেপ‌ও রয়েছে। সিঙ্গেল না প্রেম করেন এই প্রশ্নের উত্তরে পর্দার সার্থক জানান তিনি একটি প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তবে সেটি ভেঙে গিয়েছে।

যদিও তার মা জানান এখন‌ও নাকি রাত জেগে কার‌ও সাথে কথা বলেন অভিনেতা। বর্তমানে তারা একটি যৌথ পরিবারে থাকেন, যেখানে অভিনেতা আর তার মা ছাড়াও তার কাকিমা, কাকা ও ভাই রয়েছেন। তবে অভিনেতা কার সাথে প্রেম করেন সেই মানুষটি কি স্রোত? ধারাবাহিকের স্রোত অর্থাৎ স্বপ্নীলার সঙ্গে বাস্তবে কেমন সম্পর্ক এই বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা একবার বলেছিলেন , “ও খুব ভালো মেয়ে বোনের মতো বলতে পারো। প্রেমের মতো একেবারেই নয়। আমরা ভালো বন্ধু।” তবে পর্দার মতো বাস্তবেও সর্বক্ষণ খুনসুটি ঝগড়া চলতে থাকে স্বপ্নীলা আর মৈনাকের।

TollyTales NewsDesk