বাংলার ছোটপর্দার এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন অমৃতা দেবনাথ। একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিককে তাকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে। ২০১৭ সালে দেবীপক্ষ ধারাবাহিকের মাধ্যমে তার প্রথম বাংলা টেলিভিশনে পা রাখা। তবে সেই ধারাবাহিকে দর্শকের সামনে সেভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। পরবর্তীতে জি বাংলার ‘বকুল কথা’ ধারাবাহিকে বকুলের ননদ এশার চরিত্রে অভিনয় করলে দর্শকের তার অভিনয় চোখে লাগে।
পরবর্তীতে স্টার জলসার এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মন ফাগুনে’ অভিনয় করেন অমৃতা। সেখানে পিহুর বোন অনুষ্কার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাকে। এই ধারাবাহিকে অনুষ্কা চরিত্রটি তার জীবনের মোড় অনেকটাই ঘুরিয়ে দেয়। অমৃতার অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করে দেয়। তবে বেশ কিছুদিন হয়ে গেল ‘মন ফাগুন’ শেষ হয়ে গেছে।
এতদিনে দীর্ঘ অভিনয়ের পথ একদমই মসৃণ ছিল না। অভিনয়ের নামে বারবার ঠকতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। অভিনেত্রী বলেন যে তিনি যখন অভিনয় এর জন্য সুযোগ খুঁজছিলেন সেই সময় তাকে টাকার টোপ দিয়ে অভিনয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল অমৃতাকে। অভিনয় সুযোগ পাওয়ার জন্য তিনি পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছিলেন কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছিলেন যে এটা চক্রান্ত। পরে সেই টাকা ফেরতও পাননি ।
একবার না তিনি আরো একবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। একটি সংস্থা থেকে অভিনয়ের জন্য ডাক আসে অমৃতার কাছে। তাদের কথামতো গাড়িতে করে অডিশন দিতেও যান। কিন্তু গাড়িতে করে তাকে কোন সন্দেহজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে তিনি সেটা বুঝতে পেরে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তারপর থেকে তিনি খুবই সাবধানে অভিনয় জগতে পা দিয়েছিলেন।
কর্মজীবনের মতো ব্যক্তিগত জীবনেও ঠকতে হয়েছে অমৃতাকে। যার সাথে জীবন কাটাবেন মনে করেছিলেন সেই মন ভেঙ্গে চলে যায়। সেই সময় মারাত্মক ডিপ্রেশনের মধ্যে গেছেন অভিনেত্রী। কাজেও মন দিতে পারতেন না। শেষ পর্যন্ত মনোবিদের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরতে হয়েছিল তাকে। সেই নিয়ে অমৃতা বলেন, ‘যে থাকার সে থাকবেই, তাকে রাখার জন্য যদি এতো কষ্ট করতে হয়, তবে কোনদিন সে আমার ছিল না’