কোয়ালিটি অভার কোয়ান্টিটি, অর্থাৎ সংখ্যায় বেশি না গিয়ে গুণমানে বেশি হতে হবে। একসময় বাংলা টেলিভিশনের ধারাবাহিকগুলো এই কথাটা মনে চলতো। কিন্তু এখন আর সেইসব দেখা যায় কোথায়? বরং এখন নতুন নতুন ধারাবাহিকের চল। টি আর পি (TRP) এর চক্করে নির্মাতারা ভুলে যাচ্ছেন যে যে ধারাবাহিকটা চলছে সেটাকেই আরও উন্নত করতে হবে, না কি সেটাকে বন্ধ করিয়ে দিয়ে নতুন নতুন ধারাবাহিক আনতে হবে।
এত ধারাবাহিকের কারণে মানুষের মনে আর কোনও ধারাবাহিকই ঠিক স্থায়ী জায়গা করে নিতে পারছে না, যেভাবে আগেকার সময়ের ধারাবাহিকগুলো করতো। আর এই স্থায়ী জায়গা করে নেওয়া ধারাবাহিকের মধ্যে একটির নাম হল “রাশি”। রাশি ধারাবাহিকটি তখন অধিকাংশ ঘরের নিজেদের একটি গল্প হয়ে উঠেছিল। রাশি আর উজ্জ্বলের জুটি তখন একটা আলাদাই ক্রেজ তৈরি করে দিয়েছিল।
কিন্তু এই ধারাবাহিকে আরও একটি চরিত্র ছিল, যে চরিত্রটি সকলের মনে বেশ জায়গা করে নিতে পেরেছিল। সেটি হচ্ছে অপলা রায় অর্থাৎ অভিনেত্রী ডলি বসু। তিনি এই ধারাবাহিকে খলনায়িকার ভূমিকায় ছিলেন। কিন্তু কী হল এখন তাঁর? তাঁকে তো আর বিশেষ দেখা যায় না! তাহলে কি অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন।
সূত্র মতে এরকমই কিছুটা খবর পাওয়া যাচ্ছে। অভিনেত্রী অপলা রায়ের অন্য একটি পরিচয় হল, বামপন্থী নেতা জ্যোতি বসুর ছেলে চন্দন বসুর স্ত্রী তিনি। ছোটো থেকেই শিল্পের প্রতি টান থাকার কারণে তিনি ধীরে ধীরে থিয়েটার জগতে প্রবেশ করেন।
তারপর একে একে সিনেমা ও থিয়েটারে কাজ করতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে ধারাবাহিকেও আসেন। সম্ভবত “হিরো” নামক একটি ধারাবাহিকের মাধ্যমে প্রথম টেলি পর্দায় উঁকি মারেন। তারপর একের প এক ধারাবাহিক করতে থাকেন। কিন্তু এখন তিনি নিজের ব্যক্তিগত একাকী জীবন বেছে নিয়েছেন। তাঁর তিন মেয়ে কলকাতার বাইরে থাকে। তাই নিজেকে দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে নিজের মা, বই ও গাছপালার সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছেন তিনি। আপাতত কোনও অভিনয়ের কথা ভাবছেন না তিনি, কিন্তু ভালো কোনও কাজ পেলে হয়তো আবার ভেবে দেখবেন।