জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Mithai Actress: রোগা প্যাকাটি হলে কী হবে ডায়েট মানেন না সৌমীতৃষা! একসঙ্গে খেয়েছেন ১৮টা লুচি! মিঠাইয়ের বিউটি সিক্রেট কি তাহলে তেল চপচপে লুচি?

বাংলা বিনোদনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম টেলিভিশন এবং সেই টেলিভিশনে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হচ্ছে মিঠাই(Mithai)।বিগত দু’বছর ধরে দর্শকদের বিনোদনের রসদ জোগাচ্ছে ধারাবাহিক মিঠাই। মিঠাই মিঠি হয়ে যাওয়াতে ধার কমেছিল গল্পের। কিন্তু ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে মিঠাইয়ের প্রত্যাবর্তনের জেরে মোড় ঘুরেছে গল্পের। যদিও এখন টলিপাড়া জুড়ে শুধুই এই ধারাবাহিক বন্ধের গুঞ্জন।

নিজের দুষ্টু মিষ্টি অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন তিনি জিতে নিয়েছেন বহু আগেই। তাঁর বিষয়ে জানতে কৌতুহলী তাঁর ভক্তকুল। কাজই এখন বড় প্রায়োরিটি তাঁর কাছে, সেটাও তিনি বিভিন্ন সময়ই জানিয়েছেন। তবে শুধু কাজ নয় কাজের ফাঁকে, পুজো আচ্চাও করে থাকেন এই মিষ্টি মেয়েটি। আকাশছোঁয়া সাফল্যের পরেও পা মাটিতে রাখতেই বেশি ভালোবাসেন সৌমীতৃষা। তাঁর বিষয়ে জানতে ভীষণ কৌতুহলী আম জনতা।

সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নিজের নববর্ষের পরিকল্পনা এবং ছোটবেলার স্মৃতি ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী। সৌমীতৃষা জানালেন তিনি শুধুমাত্র হাতে পায়ে বড় হয়েছেন। আর এখন টিউশনে যাওয়ার বদলে শুটিং করতে যান। এটা বাদ দিয়ে তাঁর পরিবারের কাছে তিনি আজও ছোট। ছোটবেলায় নববর্ষের দিন কখনও পড়া কামাই করেননি। হয়তো অন্য দিনের তুলনায় সেদিন একটু কম পড়তে হতো। খাওয়া দাওয়ায় থাকত বিশেষ ছাড়।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ছোটবেলায় নববর্ষের দিনটায় এক অন্যরকম উত্তেজনা ছিল। মায়ের সঙ্গে দোকানে গিয়েই দাঁড়িয়ে পড়তাম লস্যি বা ফুচকার জায়গায়। মা এই দিনটা ছাড় দিতেন। প্রচুর ফুচকা আর লস্যি খেতাম, এরপর মিষ্টির প্যাকেট আর ক্যালেন্ডার নিয়ে বাড়ি ফেরা। শুরু হতে এক নতুন কাজ‌। বাড়ি ফিরে বাক্স খুলে মিষ্টি গোনা আর ক্যালেন্ডারে কী কী ছবি দিয়েছে তা দেখা ছিল আমার কাজের মধ্যে। এরপর ক্যালেন্ডারে ঠাকুরের ছবিগুলো বেছে আলাদা করে তুলে রাখা হত। আজকের দিনে দাড়িয়ে নববর্ষের সেই উত্তেজনাটা আর নেই।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন তিনি খেতে ভীষণ ভালোবাসেন। ডায়েটের ধার তিনি কোন‌ওদিনই ধারেন না। মায়ের হাতে রান্না করা খাবার তাঁর সব থেকে বেশি প্রিয়। রোজ মা তাঁকে নিজের হাতে রান্না করে, খাইয়ে তবেই শুটিং ফ্লোরে পাঠান। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, আগে নববর্ষে বাড়িতে পোলাও, মাংস রান্না হত। সবটাই নিজের হাতে রান্না করত মা। কিন্তু গোটা বছর মায়ের ভীষণ খাটাখাটনি হয়ে যায় তাই আমিই এখন বারণ করি এইসব করতে। এই দিনটা এখন বাইরে থেকে ভাল খাবার কিছু আনিয়ে নিই। এই দিনটা মায়ের ছুটি। শুধু একসঙ্গে গল্প, আড্ডা। অভিনেত্রী জানিয়েছেন এই বিশেষ দিনটা পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করেন তিনি। আর আগের বছর শুটিং ফ্লোরে ১৮টা লুচি খেয়েছেন একসঙ্গে। সত্যি অবাক হওয়ার মতই কথা।

Ratna Adhikary

                 

You cannot copy content of this page