জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে ‘আনন্দী’ (Anondi) অন্যতম। প্রতি সপ্তাহেই টিআরপি তালিকায় ভালো ফলাফল করছে এই ধারাবাহিকটি। প্রতিটি পর্বেই দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে সক্ষম ‘আনন্দী’। সম্প্রতি, ধারাবাহিকটি নতুন মোড় নিয়েছে, যেখানে প্রধান চরিত্র আদি ও আনন্দীর জীবনে একের পর এক চ্যালেঞ্জ আসছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছে কাহিনি।
গতকালের পর্বে দেখা যায়, আদির বাবার ভয়ে বিজয়া বাধ্য হয়ে তার ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। বিজয়া কিছুতেই আনন্দীর কথা শুনতে চায় না। সে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আনন্দী যদি নার্সিংহোমে যায়, তবে আদির বাবা বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। আদি প্রতিবাদ করলেও তার মা তাকে চুপ করিয়ে দেয়। এরপর আনন্দী আদিকে জানায়, সুপায়ন কিভাবে ভেন্ডারদের থেকে অতিরিক্ত কমিশন নিচ্ছে এবং শিশুদের খাবারে বিষ মেশাচ্ছে। এই তথ্য শুনে আদি অবাক হয়ে যায়।
আজকের পর্বে আদি ও আনন্দী মিলে সত্যি উদঘাটনের জন্য বেরিয়ে পড়ে। তারা ভেন্ডারের রাঁধুনিকে ধরে এনে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করে। যদিও রাঁধুনি প্রথমে কিছু স্বীকার করতে চায় না, কিন্তু আদির জেরা চলতেই থাকে। এরপর আদি ও আনন্দী ছদ্মবেশে ভেন্ডারের রান্নার জায়গায় পৌঁছায়। সেখানে তারা নিজের চোখে দেখে, কীভাবে পচা শাকসবজি ও ভেজাল চাল-ডাল দিয়ে খাবার তৈরি করা হচ্ছে নার্সিংহোমের রোগীদের জন্য। এসব দেখে আদি হতবাক হয়ে যায়।
এরপর আদি ও আনন্দী পুরো ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ভিডিও রেকর্ডিং করতে থাকে। তারা জানতে পারে, এইসব কুকর্মের পেছনে রয়েছে সুপায়ন। সুপায়নের এই চেহারা প্রকাশ্যে আসার পর কাহিনিতে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, আনন্দী যে ব্যক্তিকে আটক করে রেখেছিল, তাকে দেখতে পেয়ে বিজয়া রেগে যায়। সে আনন্দীর এই কাজে সমর্থন করতে রাজি নয়। বিজয়ার মূল লক্ষ্য এখন কেবল আদির বাবাকে বাড়িতে ধরে রাখা।
আরও পড়ুনঃ মধ্যবিত্তের জীবন দেখতে সিনেমা হলে কেন যাব? ওই জীবন তো নিজেরই! মশলা সিনেমা হলে তবেই তো এন্টারটেনমেন্ট হবে! অকপট ভিলেন সুমিত
ধারাবাহিকের পরবর্তী পর্বে কী হবে, তা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। বিজয়া কি আদির বাবাকে ধরে রাখতে পারবে? সুপায়নের কুকর্মের সত্যি কি আদির বাবা জানবে? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী পর্ব পর্যন্ত। ‘আনন্দী’ ধারাবাহিকের এই নাটকীয় মোড় দর্শকদের মন জয় করতে সফল।