জি বাংলার মিঠাই ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় জনপ্রিয়তা কমে গেলেও মানুষের মধ্যে এটিকে নিয়ে উন্মাদনা কম নয়। এটির জনপ্রিয়তা দর্শকদের মধ্যে ঠিক এতটাই বেশি যে সম্প্রতি সময়ের এমন কোন ধারাবাহিক নেই জানিয়ে এত মাতামাতি করতে দেখা যায়। একটা সময় টিআরপি তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে থাকলেও তারপরে টিআরপি কমতে কমতে একদম তলা নিতে ঠেকে তা সত্ত্বেও এই ধারাবাহিককে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। টেলিভিশন প্রেমে দর্শকদের কাছে মোদক পরিবারের প্রতিটি সদস্যই যেন নিজেদের ঘরের লোক হয়ে উঠেছে।
তবে যতই মোদক পরিবারের সকলকে টিভির পর্দায় একসঙ্গে দেখা যাক না কেন জল্পনা রয়েছে বাস্তবে তার অন্দরমহলে অনেক কলহ রয়েছে। শোনা যায় পর্দাতে যতই তাদের সুন্দর সম্পর্ক থাকুক আদতে পর্দার বাইরে একে অন্যের সঙ্গে কথাও বলেন না এই সিরিয়ালের তারকারা। বিশেষ করে এই ধারাবাহিকের প্রধান দুই মুখ্য চরিত্র মিঠাই এবং সিদ্ধার্থ ওরফে সৌমিতৃষা কুন্ডু এবং আদৃত রায়ের মধ্যে সম্পর্কটা আর পাঁচটা সাধারন অভিনেতা অভিনেত্রীদের মতো নয়।
বহুদিন ধরে তারা দুজন পর্দার বাইরে একে অপরকে এড়িয়ে চলেন বলেই জানা যায়। প্রসঙ্গত সহ অভিনেত্রী কৌশাম্বি চক্রবর্তীর সঙ্গে আদৃতের সম্পর্কের জেরেই নাকি বাস্তবে মিঠাই এবং উচ্ছে বাবুর সম্পর্ক এতটা খারাপ হয়েছে। আর এই সম্পর্কের ফাটলের কারণেই অনেকে মনে করতেন যে ধারাবাহিকের উপর একসময় অনেক বড় প্রভাব পড়েছিল। তবে এখন আবার আস্তে আস্তে ধারাবাহিকের হাল অনেকটাই ফিরছে।
মিঠাই ধারাবাহিকের ক্রমশ খারাপ ফলের জন্য ভক্তরা নানাভাবে ক্ষোভ দিয়েছিল ধারাবাহিক কর্তৃপক্ষের ওপর এবং নায়ক নায়িকার ওপর। তবে অভিনেত্রী সৌমিতৃষা দর্শকদের আগেই বলেছিলেন যে তাদের সম্পর্ক যেমনই থাকুক না কেন ধারাবাহিক তার কোন প্রভাব পড়বে না। উল্টে দর্শকরা প্রথম থেকে যেভাবে মিঠাইকে ভালোবাসা দিয়ে এসেছেন তারা যেন সেভাবেই ভালোবেসে যায় তিনি অনুরোধ করেছিলেন।
তবে এবার অবশেষে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা নিজে। তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেলের কাছে সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যেখানে আদৃত বলেন এমন অনেক গুজব তার কানেও আসে। তবে দর্শকদের সিরিয়ালের সকলের অভিনয়টাকে মন দিয়ে উপভোগ করা উচিত। এমনকি তিনি নাকি সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে মেরে ফেলার কথাও শুনেছিলেন! তাই এসব কমেন্টস পড়া কিংবা গুজবে কান না দিয়ে বরং তিনি নিজের কাজটাই মন দিয়ে করতে চান।