জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল হলো মিঠাই। দীর্ঘ এক বছর ধরে টিআরপির রেটিং লিস্টে এই সিরিয়াল শীর্ষস্থানে থাকছে।তবে মাঝে নয় সপ্তাহ গাঁটছড়া মিঠাইয়ের থেকে টপারশিপ কেড়ে নিয়েছিল ঠিকই কিন্তু তারপরে গত দুই সপ্তাহ ধরে মিঠাই আবার নিজের হারানো স্থান ফিরে পেয়েছে।
বর্তমানে সিরিয়ালে দেখানো হচ্ছে টানটান উত্তেজনা ভরা গল্প। চৈত্রের চমকের প্রোমোতে আমরা যা দেখেছিলাম ধীরে ধীরে সেই গল্পে ঢুকল মিঠাই। আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি যে নকল ফুড কালার এসেছিল ওড়িশা থেকে আর পিসেমশাই এসেছেন ভুবনেশ্বর থেকে তাই কোথাও গিয়ে সন্দেহটা পিসেমশাই এর দিকেই যাচ্ছে সকলের। সিদ্ধার্থ এখন কালপ্রিটকে ধরতে উড়িষ্যা গেছে গাড়ি নিয়ে। তবে সে আবার নিজের বাবা সমরেশের গাড়ি নিয়ে গেছে।
তাই ইদানিং মিঠাই এর রোমান্টিক সিন গুলো দেখে আমরা বেশ কষ্ট পাচ্ছি তার কারণ আমরা জানি আর তো কিছুক্ষণ পরেই দুজনে আলাদা হয়ে যাবে তারপর সিড ফিরবে রকস্টার হয়ে। হয়তো মিষ্টির ব্যবসায় কে ক্ষতি করছে সেটা জানার জন্যই ছদ্মবেশ ধরে ফিরবে সিদ্ধার্থ।
আর এর মাঝেই এবার ফাঁস হয়ে গেল মিঠাই এর শুটিং সেটের এই কীর্তি। আর এই ফাঁস করার মূলে কে আছে জানেন? তিনি হলেন আমাদের সিদ্ধার্থ অর্থাৎ আদৃত রয়।আদৃতকে আমরা আগে একদম সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পেতাম না তবে পরবর্তীকালে তিনি ফেসবুকে নিজের অফিশিয়াল পেজ খুলেছেন। সেখানে তাঁর অগুণতি ভক্ত।
আজ রবিবার কিছুক্ষণ আগে দুটো ছবি পোস্ট করেছে সিড যেটা দেখে হেসে কুটিপাটি খাচ্ছে নেটিজেনরা।মিঠাই পরিবারের ছেলেদের সে খুব ভালো বলেছে আবার ঘুরিয়ে মেয়েদের কে বলেছে যে মেয়েরা নাকি নিজেদের মধ্যে ভাব রাখে না। তার পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে মিঠাই পরিবারের মহিলা সদস্যরা, নীপা,নন্দা, শ্রীতমা,মিঠাই সকলের সিরিয়াস মুখ করে রয়েছেন।কেউ স্ক্রিপ্ট পড়ছে আবার কেউ অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে তাকিয়ে রয়েছে।
অন্যদিকে মিঠাই পরিবারের ছেলে সদস্যরা মানে স্যান্ডি, জামাইবাবু রাজীব, সোহম এবং আদৃত একদম ঘরোয়া পোশাক পরে শুটিং সেটে একে অপরের ঘাড়ে চাপাচাপি করে হাসি মজায় মেতে উঠেছেন। ক্যাপশনে আদৃত লিখেছেন মেন উইল বি মেন।
অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, মেয়েরা ভীষণ হিংসুটে হয় শুটিং সেটে এস তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলে না এবং সিরিয়াস থাকে। অন্যদিকে ছেলেরা নিজেদের মধ্যে সবসময় ভাই ভাই করে আর হাসিখুশি থাকে। এই ফটো দেখে হেসে কুটিপাটি নেটিজেনরা।সকলের বলছেন যে এবার মিঠাইয়ের থেকে শুধু মার খাওয়ার অপেক্ষা উচ্ছেবাবুর।