বর্তমানে প্রতিটি ধারাবাহিক টিকে রয়েছে টিআরপির উপর। যে ধারাবাহিকের টিআরপি যত বেশি, সেই ধারাবাহিকের স্থায়ীকাল তত বেশি। আর তাই এই টিআরপি বাড়ানোর চেষ্টায় বর্তমানে সমস্ত ধারাবাহিক একপ্রকার যেন যুদ্ধে নেমেছে। আর সেই যুদ্ধে জেতার জন্য একের পর এক টুইস্ট আনছে ধারাবাহিকগুলো। এরমধ্যেই আবার কিছু টুইস্ট হাস্যকর আকার নিচ্ছে দর্শকদের কাছে।
জি বাংলার ধারাবাহিক ‘খেলনা বাড়ি’তেও এসেছে এমনই একটি হাস্যকর টুইস্ট। সম্প্রতি একলাফে ধারাবাহিক নিয়েছে বড় লিপ। বড় হয়ে গিয়েছে গুগলি। পাশাপাশি আমরা এও জেনেছি, মিতুল ও ইন্দ্রের ছেলে ‘আদর’ নিখোঁজ। যদিও আদর তাদের সামনেই আছে, তবে মিতুল, ইন্দ্র কেউই জানে না পাড়ার দুষ্টু ছেলেটি তাদের ‘আদর’। যদিও আদরের জন্মদিনের দিনই প্রথম নিজের বাড়িতে পা রেখেছিল আদর।
কিন্তু যদিও ইন্দ্র সহ বাড়ির কেউই জানে না যে সেই আদর। বরং ইন্দ্র তাকে পছন্দও করে না। জন্মদিনে তার এন্ট্রি নতুন ঝড় তুলেছিল ‘খেলনা বাড়ি’তে। অনেকেরই মনে হয়েছে, ধীরে ধীরে মিতুল-আদর কাছাকাছি আসবে। মিতুল জানতে পারবে, পাড়ার দুষ্টু ছেলে শিবাই তার ছেলে। সেই দিনের অপেক্ষাতে ছিল অনেকেই। কিন্তু তার আগেই ঘটল বড় অঘটন। মিতুলকে মারতে এসেছিল কয়েকজন।
যেসময় মিতুলের উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়া হয়, ঠিক সেসময় মিতুলকে বাঁচাতে আদর এগিয়ে আসে।আর সেই গুলি লাগে আদরের গায়ে। না জেনেই মাকে বাঁচাতে নিজের প্রাণ সংকটে ফেলল। আর তা দেখে অবাক সকলেই। অনেকের মনেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি মিতুল আর আদর কখনো এক হতে পারবে না? অজানাই থেকে যাবে তাঁদের সম্পর্কটা। তবে এটি ধারাবাহিক, তাই অসম্ভবও সম্ভব হয় এখানে।
তবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে হাস্যকর পদক্ষেপ নিল ‘খেলনা বাড়ি’র মুতুল। ডাক্তার নয় আদর অর্থাৎ শিবাকে বাঁচাতে পারবে মিতুলই। মন্দিরের জল নিয়ে ১৫ মিনিট নিঃশ্বাস বন্ধ করে রেখে শিবার মাথায় জল ঢাললে শিবা বেঁচে যাবে। ম্যাজিকের মতো মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসে শিবা! যা নিয়ে ট্রোল শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এসব দেখে দর্শক বলছে, গাঁজার গুষ্টি শুদ্ধা পরিচালকের মাথায় ঢেলে দেওয়া উচিত।