বাংলা টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। যিনি গত বছর নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে না ফেরার দেশে চলে গেছেন মাত্র ২৪ বছর বয়সেই। আর তাই নিয়ে শোকস্তব্ধ গোটা বাংলা।আর তারপর থেকেই সবচেয়ে বেশি যে দুজন মানুষের কথা সোশ্যাল মাধ্যমে উঠে এসেছে তা হলো ঐন্দ্রিলার মা এবং কাছের বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলার অনুরাগীরা তাদের নিয়ে চিন্তিত ছিলেন।
তবে এবার সেই সোশ্যাল মাধ্যমেই চরম কটাক্ষের মুখে পড়লেন তার মা শিখা শর্মাকে। তার কারণ হলো, তিনি তার মেয়ে অর্থাৎ ঐন্দ্রিলার ভেরিফায়েড প্রোফাইল ব্যবহার করছেন । কয়েক দিন আগে ঐন্দ্রিলার প্রোফাইল থেকে সব্যসাচী চৌধুরী ও ঐন্দ্রিলার এক ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। সেখানেই সকলকে সকালের শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন। ওই পোস্ট নিয়েই যত সমস্যার শুরু। ওই পোস্ট সোশ্যাল মাধ্যমে আসার পরেই প্রথমত কে ওই প্রোফাইল ব্যবহার করছেন তা নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা।
ঐন্দ্রিলার মা নিজের পরিচয় ফাঁস করার পরেও ট্রোলিং বন্ধ হয় নি। সব্যসাচীর ছবি শেয়ার করার জন্য এক ব্যক্তি লেখেন, “সব্যসাচী একজন রক্ত-মাংসের মানুষ। তাঁর দুঃখ কষ্ট ব্যথা বেদনা যেমন আছে তেমনি হাসি আনন্দ উল্লাস সবই আছে। তিনি নিজের জীবন টা নিজের মত কাটাতেই পারেন, সে অধিকার তাঁর আছে কিন্তু তাঁর জীবনকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলার অধিকার আপনার নেই।”
অন্য একজন লেখেন, “আপনি আপনার দুঃখ আপনার নিজের একাউন্টের মাধ্যমেও পাঠাতে পারেন ‘মা’। স্মৃতি উস্কে সেন্টিমেন্ট ব্যবহার করে নাই বা।”তারপর যারা সমালোচনা করছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে শিখাদেবী বলেন, “আমি তো একজন সন্তানহারা মা এমন কথা লিখ না যাতে আমি কষ্ট পাই, তোমার ভাল না লাগলে ইগনোর করে যাও সেটাই ভাল হবে।”
কিছুদিন আগে জানা গিয়েছে ক্যান্সারে আক্রান্ত ঐন্দ্রিলার মা। তিনি এখন কলকাতায় আছেন। কলকাতার এক হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হবে। তবে কেন তিনি ঐন্দ্রিলার প্রোফাইল ব্যবহার করছেন সে কথায় তিনি বলেন, অনেকদিন ধরে ঐন্দ্রিলার প্রোফাইল নিষ্ক্রিয় হয়েছিল। আর সেটা যাতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে না যায় সেই কারণেই তা সচল করার জন্য তিনি চেষ্টা করছেন।