অবশেষে আর্য-অপর্ণা কি বসছে একসঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে? ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো দেখে দর্শকের মনে জেগেছে এই প্রশ্নটাই। এতদিনের বন্ধুত্ব, পরোক্ষ ভালোবাসা আর অপূর্ণ অনুভবেই যেন এবার মিলতে চলেছে পরিণতির ছোঁয়া। দুজনেই যতটা কাছাকাছি এসেছে, ততটাই যেন ভেতরে ভেতরে বাঁধা পড়েছে এক অদৃশ্য সুতোর বন্ধনে। দর্শকমনে যেন একটাই স্বপ্ন, এই তো সেই দৃশ্য, যার জন্য এতদিন অপেক্ষা ছিল।
ধারাবাহিকের গল্প এই মুহূর্তে পৌঁছেছে এমন এক মোড়ে, অপর্ণার চোখে এখন শুধুই আর্য। অন্যদিকে আর্যও স্পষ্ট বুঝতে পারছে, অপু ছাড়া সে যেন কিছুই নয়। দুজনেই টের পাচ্ছে একে অপরের শূন্যতা, অনুভব করছে সেই না বলা অনুভব, যার ব্যাখ্যা হয় না ভাষায়। রাত জাগা চোখ, নিঃশব্দ দীর্ঘশ্বাস আর স্মৃতিতে থাকা মুহূর্তরা যেন বলে দিচ্ছে, প্রেম পেরিয়ে এসেছে বন্ধুত্বের সীমারেখা। এই আবেগঘন পরিস্থিতিতেই গল্প নিয়েছে নতুন বাঁক!

সম্প্রতি প্রোমোর দৃশ্যে দেখা গেছে, অপর্ণার বাবা সতীনাথ আর্যর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বলেন, তিনি অপর্ণার বিয়ে দিতে চান এমন একজন ছেলের সঙ্গে, যে তার মেয়েকে নিজের সবটা দিয়ে ভালোবেসেছে। প্রথমে আর্য ভেবে বসে প্রস্তাবটি তার জন্যই এসেছে। কিন্তু মুহূর্তেই তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে! অপর্ণার বাবা, সতীনাথ নীলের ছবি বের করে বলেন, তাঁর সঙ্গেই তিনি অপুর বিয়ে দিতে চান।
এই ঘটনার পর গল্পে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত টানাপোড়েন। একদিকে আর্যর হৃদয় ভঙ্গ, অন্যদিকে অপর্ণাও যেন কিছু একটা বুঝে ফেলেছে। তাহলে কি এবার আর্য নিজের মনের কথা বলবে? অপর্ণা কি জানাবে, সে শুধু আর্যকেই চায়? দর্শকমনে দোলা দিচ্ছে এই প্রশ্নগুলি। অনেকেই মনে করছেন, বিয়ের মণ্ডপে উপস্থিত হয়েই হয়তো আর্য প্রকাশ করবে নিজের প্রেম, আর তাতেই থেমে যাবে অপু-নীলের বিয়ে। কিন্তু সত্যিই কি তাই হবে?
আরও পড়ুনঃ ‘আপনারাও তো এমন শরীর থেকেই বেরিয়েছেন’- প্রেগন্যান্সির ছবি পোস্ট করে ট্রোলারদের যোগ্য জবাব দিলেন অভিনেত্রী অহনা দত্ত !
ধারাবাহিকের নির্মাতাদের পক্ষ থেকে যদিও স্পষ্ট জানানো হয়েছে—এত সহজে মিলবে না মিলনের দৃশ্য। বাংলা ধারাবাহিকে যেভাবে সবসময় প্রেমিক-প্রেমিকা শেষমেশ একসঙ্গে হয়ে যায়, এবার তা হবে না। বরং নির্মাতারা জানিয়েছেন, এই গল্পে রয়েছে আরও বড় টুইস্ট, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ হবে। সেই অজানা চমক জানতেই চোখ রাখতে হবে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর নতুন পর্বে, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬:৩০-এ, শুধুমাত্র জি বাংলায়।