‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা এখন কমে গেলেও একটা সময়ের ৫৬ বার বেঙ্গল টপার। আর একটা ধারাবাহিক এতবার টিআরপি তালিকার শীর্ষ স্থান শুধু শুধুই অর্জন করেনা। ধারাবাহিকের গল্প নিয়েই সব সময় আলোচনা হতো সোশ্যাল মিডিয়াতে। সিদ্ধার্থ মিঠাইয়ের জুটি ছাড়াও এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তার আরো একটি বড় কারণ ছিল ‘মিঠাই’ তে দেখানো মোদক পরিবার। তাদের মধ্যে একে অপরের জন্য এত সুন্দর ভালোবাসা দেখানো হতো যা দেখে মুগ্ধ হতো দর্শক।
সম্প্রতি তার জনপ্রিয়তা কমে গেলেও ‘মিঠাই’য়ের গল্প নিয়ে মানুষের মনে ভালোবাসা আজও বিপুল। তা এদিনকার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট দেখেই বোঝা যায়। সম্প্রতি মিঠাইতে দেখানো হচ্ছে যে পিংকি অর্থাৎ সিদ্ধার্থর ছোট ভাই এর বউয়ের দাদা আদিত্য আগারওয়াল মিঠাইকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সিদ্ধার্থ ঠিক সময়ে মিঠাইকে বাঁচিয়ে নেয়।
এর আগেও ধারাবাহীকে দেখানো হয়েছে পিংকির ছোটদা অর্থাৎ ওমি আগারওয়াল সিদ্ধার্থকে গুলি করতে গিয়ে মিঠাইকে গুলি করে। যার জন্য মিঠাই বেশ কয়েকদিন কোমাতেও ছিল। পিংকির দুই দাদাই বারবার চেষ্টা করেছে সিদ্ধার্থ মিঠাইয়ের ক্ষতি করার। এমনকি গোটা মোদক পরিবারকে বিপদে ফেলার জন্য বাড়িতে বোমাও লাগিয়ে রেখেছিল ওমি আগারওয়াল। তার ফলেই পিংকি নিজেকে দোষী মনে করছে। তার কারণ বারবার তার দাদাদের জন্য মিঠাই এবং সিদ্ধার্থকে বিপদে পড়তে হচ্ছে। সম্প্রতি বাড়ির সবার কাছে সে ক্ষমা চেয়ে কান্নাকাটি করছিল।
কিন্তু বাড়ির কেউই তাকে দোষারোপ করেনি। উল্টে সবাই পিঙ্কির অবস্থা বুঝে তাকে সামলানোর চেষ্টা করেছে। তাকে প্রত্যেকেই বলেছে যে তার দাদারা এমন কাজ করলেও সে অত্যন্ত ভালো মেয়ে তাই তাকে কেউই ভুল বোঝেনি। আর এই এপিসোড দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হয়েছেন। তাদের কথায় এটা যদি অন্য কোন পরিবার হতো তাহলে পরিবারের প্রিয় বউকে এতবার বিপদে ফেলার জন্য ছোট বউকে এতদিনে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হতো অথবা অনেক রকম কথা শোনানো হতো। কিন্তু সেই জায়গায় মোদক পরিবার ছোট বউয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তাকে আত্মগ্লানি থেকে বের করেছে। তাই ‘মিঠাই’ এর জনপ্রিয়তা কমলেও তার গল্প এবং চরিত্রদের উপস্থাপনা সব সময় সাধুবাদ পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।