‘জলনূপুর’এর পারি পাগলির কথা মনে আছে? প্রসঙ্গত আজ থেকে প্রায় ৯ বছর আগে ২০১৩ সালে স্টার জলসার পর্দায় সম্প্রচারিত হত জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘জলনূপুর’। মাত্র ২ বছরের মাথায়২০১৫ সালেই শেষ হয়ে যায় এই সিরিয়াল। ধারাবাহিকে নীল-কাজলের সেই ভালোবাসার কাহিনীর পাশাপাশি এই সিরিয়ালের দর্শকদের মন ছুঁয়েছিল অপরাজিতা আঢ্যের করা পারি পাগলির অভিনয়।
ছোটবেলা থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী এবং বিশেষভাবে সক্ষম শিশু হিসাবে ধারাবাহিকের নায়ক নীলের পিসির চরিত্রে দুর্ধর্ষ অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী। আজও ভক্তদের কাছে দারুন জনপ্রিয় অপরাজিতা আঢ্যের এই চরিত্রটি। আসল নাম অনুসারে সিরিয়ালেও তার নাম রাখা হয় অপরাজিতা, সংক্ষেপে সবাই তাকে ‘পারি’ বলে ডাকত। এরপর ‘ধূলোকণা’ ধারাবাহিকের পাগলী মিনির কথা অনেকেই মনে রেখেছেন।
মনে তো থাকারই কথা, দর্শকরা যেমন পছন্দ করতেন ‘ধূলোকণা’ ধারাবাহিকের লালন-ফুলঝুড়িকে, তেমনই পছন্দ করতেন পাগলী মিনিকে। তবে এই মিনি পাগলী হলে কী হবে! সর্বদা সত্য কথা বোল্ট সে। তাই দর্শকদের খুব পছন্দের ছিল এই পজেটিভ চরিত্রটি। এই মিনির চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন তিনি হলেন প্রীতি বিশ্বাস।
এবার জি বাংলার সদ্য শুরু হওয়া ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকে একটি পাগলির চরিত্রে অভিনয় করবেন শ্রীতমা ভট্টাচার্য। তিনি হলেন সেই ইচ্ছে নদীর ‘অদ্রিজা’ ও ম’এর ‘ঝিলিক’। পরপর জনপ্রিয় ‘রিল’ চরিত্রের নামের আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছে তাঁর ‘রিয়েল’ নামটাই। তিনি হলেন শ্রীতমা ভট্টাচার্য।
তাঁকে প্রধানত নেগেটিভ চরিত্রেই আমরা দেখতে পেয়েছি। তবে এবার মানালি দে’র নতুন ধারাবাহিকে পাগলির চরিত্রে আসছেন তিনি। সকলেই তাঁর অপেক্ষায় থাকলেও বেশিভাগ দর্শকদের মতে, যতগুলো পাগলির চরিত্র হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেস্ট ছিল ‘জলনূপুর’এর পারি পিসির অভিনয়। ‘ধূলোকণা’র মিনিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে সেই চরিত্র। তাই তাঁর থেকে বেস্ট অভিনয় শ্রীতমাও করতে পারবেন না বলে অনেকেরই ধারণা।