আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। তারপরেই গুনগুনকে মুখার্জি বাড়ি থেকে শেষ বিদায় জানাবে সৌজন্য আর পুরো মুখার্জি পরিবার। প্রথমে গুনগুনের ড্যাডি চলে গেল আর এবার গুনগুনের মৃত্যু দিয়ে শেষ হচ্ছে খড়কুটো ধারাবাহিক।
এটাই মেনে নিতে পারছেন না দর্শকরা।তারা লেখিকা লীনা গাঙ্গুলিকে বারবার প্রশ্ন করছেন যে আপনি গুনগুনকে মেরে দিলেন কেন? দর্শক আঁচ করতে পেরেছিল গুনগুনকে মেরে ফেলা হবে কারণ অভিনেতাদের সাদা পোশাক পরে শুটিং সেট থেকে ছবি দিতে দেখা গেছিল আগেই। তবে এখন চোখের সামনে দৃশ্যটা দেখে আর কান্না আটকাতে পারছেন না কেউ।
গুনগুনকে সিঁদুর পরিয়ে হাসিখুশি ভাবে আনা হয়েছিল মুখার্জি বাড়িতে আর আজ সেখান থেকেই তাকে সাদা কাপড়ের উপর লাল কাপড় মুড়ে কপালে সিঁদুর পরিয়ে আর গলায় মালা দিয়ে বিদায় জানালো সৌজন্য। হাউহাউ করে কাঁদছে মুখার্জি পরিবার আর এই দৃশ্য দেখে কেঁদে ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা।
তবে গুনগুনের মৃত্যু এমন একটা সীন আমাদেরকে দেখিয়ে গেল যেটা বাস্তব জীবনে একদম সম্ভব নয়। অভিনেতা ভরত কলকে আমরা সকলেই চিনি। মূলত খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করতেই তিনি ভালবাসেন বোধ হয়, যদিও তার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন কেউ তুলবেন না।যেরকম সিনেমায় অভিনয় করেছেন দাপটের সঙ্গে আর এখন ধারাবাহিকে অভিনয় করে যাচ্ছেন চুটিয়ে। লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার, উমা আরো অনেক সিরিয়ালে তাকে আমরা দেখতে পাই। অনেকেই জানেন যে তার বর্তমান স্ত্রী জয়শ্রী খড়কুটোতে অভিনয় করছেন।
আমার অনেকেই জানেন না যে তার প্রথম স্ত্রী অনুশ্রী দাসও খড়কুটোতে অভিনয় করছেন। অর্থাৎ ভরত কলের প্রাক্তন এবং বর্তমান দুই স্ত্রী একই ধারাবাহিকের কাজ করছেন কিন্তু দুজনের একসঙ্গে দৃশ্য খুব কম দেখা গেছে। গুনগুনের মৃত্যুর পর দুজনে দুজনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবেন আর এই দৃশ্য দেখেই সকলে চমকে গেছেন। অনেকেই বলছেন যে গুনগুন নিজের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ভরত কলের দুই স্ত্রী’কে মিলিয়ে গেলেন। যদিও এটা সিরিয়ালে, বাস্তব জীবনে দুজনের মধ্যে কোন মাখামাখি নেই। দুজনে প্রফেশনাল সম্পর্ক বজায় রেখেই চলেন।