জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“নাকের ভেতরে সেলাই আর সিলাস্টিক শিট নিয়ে শুটিং করছি”, “কথা তো দূর, হাসিও যেন একটা যুদ্ধ এখন!”— শারীরিক কষ্ট সত্ত্বেও ক্যামেরার সামনে দিতিপ্রিয়া! অসুস্থতার মাঝেও কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা, এখন কেমন আছেন তিনি?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ (Chirodini Tumi Je Amar) অপর্ণার চরিত্রে দিতিপ্রিয়া রায়ের (Ditipriya Roy) উপস্থিতি এখন দর্শকদের কাছে দারুণ প্রিয়। জীতু কমলের (Jeetu Kamal) বিপরীতে তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসিতও হচ্ছে। ধারাবাহিকের টানটান গল্পের মধ্যে দিতিপ্রিয়ার অভিনয় যেমন বিশ্বাসযোগ্যতা এনে দিচ্ছে, তেমনি তাঁর চরিত্রের আবেগ এবং জেদ দর্শকদের মনের মধ্যে আলাদা জায়গা করে নিচ্ছে। তবে বেশ কিছুদিন দিতিপ্রিয়াকে দর্শকরা খুব মিস করেছেন। অবশেষে সে ফিরলেও, মুখে ফ্যাকাশে এবং ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট!

আসলে কয়েকদিন ধারাবাহিক থেকে দূরে ছিলেন দিতিপ্রিয়ার একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। বেশ কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই তিনি জানান, তাঁর একটি ছোট অস্ত্রোপচার হতে চলেছে। যদিও এটি কোনও হঠাৎ হওয়া সমস্যা নয়। জানা গেছে, নাকের হাড় সংক্রান্ত সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। এমনকি মাঝেমধ্যে নাক থেকে র’ক্ত পড়ার ঘটনাও ঘটত। চিকিৎসকেরা অনেক আগেই অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু শুটিংয়ের ব্যস্ততায় তা পিছিয়ে যায়।

অবশেষে এই বছর অভিনেত্রী অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন এবং সেটি সফলভাবেই সম্পন্ন হয়। অস্ত্রোপচারের পর পরই কিছুদিনের জন্য বিশ্রামে ছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন কিছুদিন কথা কম বলার জন্য। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহ বিশ্রামের পরই দিতিপ্রিয়া আবার ফিরেছেন ক্যামেরার সামনে। কাজের প্রতি তাঁর এই দায়বদ্ধতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। তবে প্রত্যাবর্তনের পর দর্শকের চোখে পড়ে যায় তাঁর মুখের ক্লান্তি, ফ্যাকাশেভাব— যা আগের প্রাণবন্ত দিতিপ্রিয়ার থেকে একেবারেই আলাদা।

এই বিষয়টি নিয়ে দর্শকরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করলে, নিজেই এগিয়ে এসে দিতিপ্রিয়া জানান নিজের পরিস্থিতির কথা। তিনি লেখেন, অস্ত্রোপচারের পর এখনও তাঁর নাকের ভেতরে সেলাই রয়েছে, এমনকি একটি সিলাস্টিক শিটও বসানো আছে। এই অবস্থায় কথা বলা বা হাসাও যেন প্রতিদিন একেকটা যুদ্ধের মতো। তবুও তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, কারণ দর্শকের ভালোবাসা তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি বলে জানান তিনি। অসুস্থতা সত্ত্বেও যেভাবে তিনি শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিঃসন্দেহে তাঁর পেশাদারিত্ব এবং দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

দিতিপ্রিয়ার এই খোলামেলা বক্তব্য আরও একবার প্রমাণ করে দিল, তিনি শুধু একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রীই নন, বরং একজন অত্যন্ত নিষ্ঠাবান অভিনেত্রীও। অসুস্থ শরীর নিয়েও যেভাবে তিনি শুটিংয়ে ফিরে এসেছেন, তা যেমন অনুরাগীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনি নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে– শক্তি সব সময় বাহ্যিক নয়, বরং ইচ্ছাশক্তির মধ্যেই লুকিয়ে থাকে। এখন শুধু তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা, যাতে আবার আগের মতো প্রাণবন্ত দিতিপ্রিয়াকে পর্দায় দেখা যায়।

Piya Chanda