জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Icche Putul: এক বোন আরেক বোনকে কথায় কথায় এত রক্ত দেয় কিভাবে? একজন সুস্থ মানুষ সর্বনিম্ন চার মাস পর তাও এক ব্যাগ রক্ত দিতে পারে! ‘ইচ্ছেপুতুল’ দেখে হেসে খুন নেটদুনিয়া

বিভিন্ন সময় বাংলা ধারাবাহিক কটাক্ষবিদ্ধ হয়েছে। আসলে বাংলা ধারাবাহিককে মাঝেমধ্যেই গল্পের গরু গাছে উঠে পড়ে। আর যার ফলে তা দর্শকদের পক্ষে হজম করা সহজ হয়ে ওঠে না। শুরু হয় মিম, ট্রোলিং। উড়ন্ত সিঁদুরে বিয়ে, প্রশিক্ষণ ছাড়া বিমান চালানো বা বিমানে ঘটিগরম বিক্রি এইসব ভুরি ভুরি উদাহরণ। এরই মধ্যে সাম্প্রতিক উদাহরণ হল গুড্ডি (Guddi) ধারাবাহিকের অভিনেত্রী বা নায়িকা গুড্ডি নিজেই নিজেকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করে নিয়েছে। সোহাগ জল ধারাবাহিকের বেনি বৌদি নিজেই নিজেকে বিয়ে করেছেন। মুখে কোনও মেক আপ ছাড়াই পোশাক বদলেই ছদ্মবেশ ধারণ করে দেখিয়েছে সোহাগ জল (Sohag Jol) ধারাবাহিকের জুঁই (Jui) ও শুভ্র (Subhro)।

আর এবার এমন‌ই এক অসাধ্য সাধন করে চলেছে ‘ইচ্ছে পুতুল’ ধারাবাহিকের মেঘ। ‘ইচ্ছে পুতুল’ ধারাবাহিকের অন্যতম প্রধান নারী চরিত্র মেঘের ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী তিতিক্ষা দাস! দত্ত অ্যান্ড বৌমা ধারাবাহিকে আগে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। গত ৩০শে জানুয়ারি থেকে জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত হচ্ছে ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকটি! স্টার জলসার ইচ্ছে নদী ধারাবাহিকের সঙ্গে ভীষণ মিল খুঁজে পান দর্শকরা এই ধারাবাহিকের।

এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে মেঘ ও ময়ূরী দুই বোন। মেঘ ছোট ময়ূরী বড়। মেঘের সবকিছুই ছিনিয়ে নিতে চায় ময়ূরী। সৌরনীল নামক একটি ছেলের প্রেমেই পড়ে দুই বোন। সৌরনীল ভালোবাসে মেঘকে। আর মেঘের থেকে তাঁর ভালোবাসা ছিনিয়ে নিতে চায় ময়ূরী। এই নিয়েই এগোচ্ছে গল্প। আর দিদির চাহিদা পূরণে নিজের সবকিছু ত্যাগ করতে রাজি মেঘ। ভীষণ রকমের স্বার্থপর চরিত্র হিসেবে দেখানো হয় মেঘ-ময়ূরীর মাকেও। যিনি ময়ূরীর ভালোর জন্য সদাই মেঘকে চাপ দিতে থাকেন।

এই ধারাবাহিক চুটকি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে মেডিকেল সায়েন্সকে। ‌এই ধারাবাহিকে দেখানো হয় ছোট বোন মেঘ তাঁর রক্ত দিয়ে নিজের দিদি ময়ূরীর জীবনকে বাঁচিয়ে রেখেছে। যদিও জানা মতে, চার মাস পরপর এক ব্যাগ রক্ত দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এখানে ময়ূরীর দরকার লাগলে যখনতখন রক্ত দিয়ে দেয় মেঘ। আর তা দেখে এক দর্শক লিখেছেন, ‘আচ্ছা এই সিরিয়ালটায় এক বোন আরেক বোনকে কথায় কথায় এত রক্ত দেয় কিভাবে??? আমার জানা মতে তো একজন সুস্থ মানুষ সর্বনিম্ন চার মাস পরপর তাও এক ব্যাগ রক্ত দিতে পারে!’ আসলে বাংলা ধারাবাহিকে সব সম্ভব।

Titli Bhattacharya