এবার দীর্ঘপ্রতীক্ষিত মোড় নিল জি বাংলার ‘জগদ্ধাত্রী’ (Jagaddhatri) । টানা অনেকদিন জি বাংলার টিআরপি তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রাখা এই ধারাবাহিক সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা চুপচাপ হয়ে পড়েছিল বলে মত ছিল দর্শকদের একাংশের। গল্পের গতি ছিল ধীর, প্রধান চরিত্র জগদ্ধাত্রী দীর্ঘদিন ধরে নিস্তেজ অবস্থায় হুইলচেয়ারে বন্দি। নড়াচড়া তো দূরের কথা, কথাও বলতে পারছিলেন না তিনি। এই অবস্থার পরিবর্তন নিয়ে দর্শকদের মধ্যে এক ধরনের বিরক্তি, হতাশা এবং চরম অনিশ্চয়তা জমে উঠেছিল।
‘জ্যাস’-এর মতো একজন শক্তিশালী চরিত্রকে দীর্ঘ সময় দুর্বল দেখানোয় প্রশ্ন উঠছিল, গল্প কোনদিকে এগোচ্ছে?এর মধ্যেই শুরু হয়েছিল নতুন একটি রহস্য। জগদ্ধাত্রীর মেয়ে দুর্গাকে ঘিরে অনেকেই ভাবতে শুরু করেন, এই চরিত্রের মধ্যে দিয়ে গল্পে নতুন দম আসবে। কিন্তু তার থেকেও বড় প্রশ্ন ছিল—জগদ্ধাত্রী ও দুর্গার মিল কখন ঘটবে? কিংবা আদৌ ঘটবে তো? মা অসুস্থ, অপমানিত, প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছে—এমন সময় মেয়েকে একাধিকবার দেখা গেলেও, তার পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া ছিল না।

বুধবার রাতে ব্লুজ প্রোডাকশনের তরফ থেকে প্রকাশিত নতুন প্রোমো যেন এক লহমায় ঘুরিয়ে দিল পরিস্থিতি। সেখানে দেখা গেল, কিছু দুষ্কৃতী হুইলচেয়ার-বন্দি জগদ্ধাত্রীকে অপহরণ করেছে। সম্ভবত এরা সেই শত্রুপক্ষ যারা অতীতে পুলিশ অফিসার হিসেবে জগদ্ধাত্রীর দ্বারা ধরা পড়েছিল। তারা এবার প্রতিশোধ নিতে চায়। এক দুষ্কৃতী যখন লাঠি হাতে জগদ্ধাত্রীকে মারতে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময় আবির্ভাব ঘটে এক রহস্যময় নারীর—যিনি যেন হুবহু জগদ্ধাত্রীর ছায়া। দৃশ্যপট মুহূর্তে বদলে যায়।
এই নারী আর কেউ নন, জগদ্ধাত্রীরই মেয়ে দুর্গা। এ বার আর চুপ করে না থেকে, স্বয়ং মা’কে বাঁচাতে হাতের লাঠি তুলে নেয় সে। দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দেয়—এবার প্রতিশোধের পালা তার। এই দৃশ্যেই প্রবেশ করে স্বয়ম্ভু। নিজের চোখের সামনে জগদ্ধাত্রীর মতো দেখতে দুর্গাকে দেখে সে হতবাক। একরাশ আবেগ আর বিস্ময়ের মধ্যে যখন দর্শক ভাসছেন, তখনই আসে সবচেয়ে বড় চমক—দুর্গাই জগদ্ধাত্রী ও স্বয়ম্ভুর সন্তান! অর্থাৎ অনেক অপেক্ষার পর মা-মেয়ের সম্পর্কের পর্দা ফাঁস করল প্রোমোটি।
আরও পড়ুনঃ “বাঙালি হয়ে সজনে ডাটা চেনো না? তুমি কে মা?” “তুমি একটি আস্ত ন্যাকা”— বাঙালির পরিচিত সাধারণ সবজি চিনতে গিয়ে রীতিমতো দাঁত ভাঙলেন রূপসা! কটাক্ষের বন্যা নেটপাড়ায়!
নতুন প্রোমো যেমন চমক এনেছে, তেমনই নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্কও। একপক্ষ বলছে, এই মিলন মুহূর্তটি আবেগে ভরা ও প্রাসঙ্গিক, আবার অপরপক্ষের অভিযোগ, শাহরুখ খানের জওয়ান সিনেমার প্লট হুবহু তুলে এনে গল্পের মৌলিকতাই শেষ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, এতদিন ধরে যে রহস্য জমে ছিল, তা ভেঙে ফেলার এই তাড়াহুড়ো সিদ্ধান্ত অনেকাংশেই ভুল। আপনি কী মনে করেন? অবশেষে মা-মেয়ের মিলন কি দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে?