বর্তমানে স্টার জলসার (Star Jalsha) যে ধারাবাহিক গুলি সবচেয়ে জনপ্রিয় তার মধ্যে অন্যতম হল ‘কথা’ (Katha)। শুরুর প্রথম থেকেই দর্শকদের মনে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে ধারাবাহিকটি। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা। টিআরপি (TRP ) লড়াইতেও ভালো ফল করে দেখাচ্ছে প্রতি সপ্তাহে। ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাচ্ছে সাহেব ভট্টাচার্য (Saheb Bhattacharya) এবং সুস্মিতা দেকে (Sushmita Dey)। তাদের জুটি দারুন পছন্দ করেছেন দর্শকরা। ধারাবাহিকের গল্পে চমকের পর চমক দারুন উপভোগ করছেন দর্শকরা।
কথা আজকের এপিসোড আপডেট
ধারাবাহিকের গল্পে দেখা যাচ্ছে, মাতুর মুখ থেকে শোনা ধাঁধার সমাধান করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে কথা। ধাঁধার সমাধান করতে করতেই কথা বুঝতে পারে যে মাছের পেটে করে কিছু একটা চোরাচালান করা হচ্ছে। কি পাচার করা হতে পারে এই নিয়ে অগ্নি কথাকে প্রশ্ন করলে উত্তরে কথা জানায় যে মন্দিরের ভাস্কর্য চোরাচালান করা হচ্ছে মাছের পেটে ঢুকিয়ে এবং সেগুলি পাচার হচ্ছে বিদেশে । এই প্রসঙ্গে কথা এও বলে যে মাধব যখন তাদের মাছ দেখাচ্ছিল তারা ভালো করে কেউ মাছের পেট লক্ষ্য করেনি। কথা আর অগ্নি ভাবতে থাকে যে তারা কি করে মাধবকে ধরবে।
ওদিকে প্রত্যয় সমস্ত চেকপোষ্টে জানিয়ে দেয় যে বদ্রিখালি থেকে যেকটা মাছের পেটি বাইরে যাবে সেগুলো কে যেন খুব ভালো করে সার্চ করা হয়। ওদিকে কথা অগ্নিকে বলে যে জুনি নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে কিছু জেনে ফেলেছিল, সেই জন্যই জুনিকে ওরা অন্য কোথাও সরিয়ে দিয়েছে। কথা আর অগ্নি মিলে গগনবাবুকে মাধবের বাড়ি কোন দিকে তা জিজ্ঞেস করে। কিন্তু গগন বাবু জানান তাকে এখন পাওয়া যাবে না। গগনবাবুকে সবটা খুলে বললে গগনবাবু তো শুনে অবাক হয়ে যান।
ওদিকে ম্যান্ডি সব কথা শুনে নিয়ে ফোন করে মাধবকে। অগ্নি এবং কথা যে মাধবকে সন্দেহ করছে সেই কথা সে ফোনে জানায়। মাধবকে কথা এবং অগ্নির থেকে সাবধান থাকার কথা জানায় ম্যান্ডি। ওদিকে, কথা বুঝে যায় যে কেউ একজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদের সব কথা শুনেছে। কথা ম্যান্ডির চুলের কাঁটা পড়ে থাকতে দেখে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যায়।
কথা ম্যান্ডির ব্যাপারে গগনবাবুকে জিজ্ঞেস করলে গগন বাবু জানায় ম্যান্ডিকে তিন চার দিনের বেশি সে চেনেনা। এই শুনে ম্যান্ডির ওপর সন্দেহ করে কথা। কথা মাধবকে খুঁজে বের করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: কাউকে ডরাই না❗অভিযোগের পরেও উচিৎ কথায় ফের সৌরভকে তুমুল তুলোধনা সিনেবাপের!
কথা এবং অগ্নিকে শায়েস্তা করার জন্য যে গুন্ডাদের পাঠানও হয়েছিল তাদের জব্দ করেই মাধবকে ধরার ফাঁদ পাতে কথা। সেই গুন্ডাদের দিয়ে মাধবকে ফোন করিয়ে বলানও হয় যে তারা একটি মূর্তি লুকিয়ে রেখেছিল গণেশ ঠাকুরের নিচে। মাধবকে সেটা বের করে আনতে বলা হয়। এই শুনে মাধব মূর্তিটি ওখান থেকে সরানওর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়। গণেশ বিসর্জনের সময় ছদ্মবেশে সেখানে উপস্থিত হয় মাধব। মাধব কি ফাঁদে পা দেবে? নাকি সে মুর্তিটি সরিয়ে নিতে সক্ষম হবে? তা জানা যাবে আগামী পর্বগুলিতে।