বিনোদন জগতের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড ফাংশন হয়ে থাকে। অনেক সংস্থাই বিনোদন জগতের অভিনেতা অভিনেত্রীদের সম্মান জানানোর জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড ফাংশন আয়োজন করে থাকেন। এরকম একটি জনপ্রিয় অ্যাওয়ার্ড ফাংশন হল, কলকাতা গ্লিটজ অ্যাওয়ার্ড। এই নিয়ে সপ্তম বার তাদের অ্যাওয়ার্ড ফাংশন হতে চলেছে। কিন্তু ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি হয়ে গেছে প্রচুর বিতর্ক।
গত বছর পপুলার চয়েজে সেরা জুটির তকমা পেয়েছিল মোহর আর শঙ্খ। সেখানে মিঠাই এর কোন রকম স্থান ছিল না। আর জুরিদের পছন্দ হিসেবে সেরা জুটির তকমা পেয়েছিল উর্মি আর টুকাইবাবু। এবারের কিছুদিন আগেই ভোটিং শুরু হয়েছিল আর মিঠাই ভক্তরা ঠিক করেই রেখেছিল ভোট দিয়ে মিঠাইদের জিতিয়েই ছাড়বে।
কিন্তু তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। অভিযোগ উঠে যে মিঠাই ভক্তরা অটো ক্লিকিং ইউজ করে প্রতি মিনিটে ৪০০-৫০০ করে ভোট বাড়াচ্ছে। এবারে লড়াইটা ছিল সাহেব বনাম সিড আর রাধিকা বনাম মিঠাই। শেষ দুদিন প্রচন্ড লড়াই চলেছে,রাধিকা আর সাহেব তো নতুন চরিত্র হিসেবে ভোট পায়নি তারা মোহর আর শঙ্খদীপ হিসেবেই ভোট পাচ্ছিলেন।
আসলে এই ওয়েবসাইটের ভোটিংয়ে অনেক গন্ডগোল আছে। একজন ব্যক্তি আনলিমিটেড ভোট দিতে পারবেন আর সেটাই সমস্যার। তাই অটো ক্লিকিং এর সাহায্য মিঠাই ভক্তরা নিয়েছেন, এরকম প্রমাণ আসার আগেই আমাদের কাছে চলে এসেছে সেই প্রমাণ যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সোনামণি এবং প্রতীকের ভক্তরা অটো ক্লিকিং ইউজ করেছে আর ভোট বাড়িয়েছে।
কিছু গ্রুপের ছবি ফাঁস হয়েছে, সেখানে কে কখনো অটো ক্লিকিং ইউজ করে ভোট করবেন সেটা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এমন প্ল্যান প্রোগ্রাম করে ভোটিং করা হয়েছে যেটা দেখলে অবাক হবেন সকলেই। তবুও দিনের শেষে গিয়ে মিঠাই ভক্তরাই জিতে গেছে ভোটিংয়ে। আর ঋত্বিক মুখার্জি এবং অরুনিমা হালদার আলাদাভাবে জিতেছেন।
তবে যেভাবে জলসা ভক্তরা বিশেষ করে মোহদীপ ভক্তরা মিঠাই ভক্তদের নামে দোষারোপ করছে তাতে মিঠাই ফ্যানডম খুব রেগে গেছে। নিজেরা অটো ক্লিকিং ইউজ করে ভোট দিয়েছে কিন্তু তাতেও জিততে না পেরে মিঠাই ভক্তদের নামে উল্টোপাল্টা কথা বলে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় আর হেরে গেছে বলে এখন অনগোয়িং ট্রেন্ড বয়কটের ভয় দেখাচ্ছে কলকাতা গ্লিটজ অ্যাওয়ার্ড কে। তবে অনেকে বলছেন আগের বছর তো পেয়েছিল দুজনে, তাহলে এই বছরটা থাক। এই বছরটা সিধাই জুটি নিক না, অসুবিধা তো কিছু নেই