একটা সময় টিআরপি তালিকাকে কার্যত কব্জায় রেখেছিল জি বাংলার ধারাবাহিক মিঠাই। সেই সময় চলা অন্যান্য ধারাবাহিকগুলো রীতিমতো সমঝে চলত জি বাংলার এই ধারাবাহিকটিকে। হৈ হট্টগোল, গল্প, আড্ডা, রহস্য, কূটকাচালি সবকিছু মিলিয়ে একটা জমাটি প্যাকেজ ছিল মিঠাই।
যদিও গতকাল একেবারের মতো বন্ধ হয়ে গেছে এই ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের অন্তিম পর্বের শুটিং সম্পন্ন হয়ে গেছে গতকাল। হয়তো আর কয়েকদিন টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যাবে এই ধারাবাহিকটিকে। তারপরে পড়ে থাকবে শুধু স্মৃতিটুকু। মিঠাই ধারাবাহিকের অভিনেতা অভিনেত্রীদের আবারও অন্য কোনও কাজে আগামী দিনে দেখা যাবে। কিন্তু আর কখনও একত্রিতভাবে ফিরবেন না তাঁরা।
মিঠাই ধারাবাহিকে বিভিন্ন চরিত্রের পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়েছিল দুটি শিশু চরিত্রও। মিঠাই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছিল শাক্য, মিষ্টি নামে দুই ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে সিড-মিঠাইয়ের। দর্শকমহলে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই দুই চরিত্র। তাঁদের দুষ্টু মিষ্টি আচরণ, সুন্দর অভিনয় মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। মিঠাই পরিবারে প্রাণ হয়ে উঠেছিল এই দুই খুদে সদস্য।
মিঠাই ধারাবাহিকের নায়ক আদৃত রায়ের সঙ্গে এই দুজনের জমাটি বন্ধন ছিল চোখে পড়ার মতো। মিঠাই ধারাবাহিকে মিষ্টির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী অনুমেঘা কাহালি। শাক্যর আসল নাম ধৃতিষ্মান চক্রবর্তী। মাত্র ৫ বছর বয়সেই দর্শকদের মনে রাজত্ব করা শুরু করেছেন এই অভিনেতা। তবে শুধুমাত্র অভিনয় নয়। অনস্ক্রিন বাবা আদৃতের মতো দারুণ গানের গলা ধৃতিষ্মানের। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভালো রকমের পরিচিতি এই ক্ষুদে তারকার।মাত্র ৫ বছর বয়সে সে ভারতবর্ষের একাধিক ভাষায় গান গেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই বয়সেই সে ৭০টির বেশি গান রেকর্ড করে ফেলেছে এই খুদে তারকা।
সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে অনুমেঘা এবং ধৃতিষ্মান দুজনেই জানিয়েছে মিঠাইয়ের পুরো ইউনিটকে মিস করবে তাঁরা। একই সঙ্গে মিস করবে শুটিং করতে আসাকে। মিস করবে দু’জন দু’জনের সঙ্গে খুনসুটি, বদমাইশি। তবে অনুমেঘা জানিয়েছে আগামী কোনও প্রজেক্টে আবারও হয়ত কাজ করতে পারে সে। কিন্তু ততদিনের জন্য বিদায়।