সকালেই পাওয়া গেছিল সেই খবর, যদিও তখন অনেকে বিশ্বাস করতে পারেননি। আমাদের প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত অর্ধ নিশ্চিত ছিল তবে তারপরে পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস এক ভক্তের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন মিঠাইয়ের সময় পরিবর্তন হচ্ছে তাই খবরটা যে সত্যি কথা বলাই বাহুল্য।
এমনিতেই টিআরপি কম উঠছিল বলে, ভক্তদের মাথা খারাপ ছিল তার ওপরে এই খবরে তারা একদম ভেঙে পড়েছিলেন সকালে। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ ধারাবাহিকের ভক্তরা তাদের নিয়ে অনেক মজা করছিল। অনেকে মোহরের সঙ্গে মিঠাইয়ের তুলনা টেনে আনছিলেন। মিঠাই এসে জনপ্রিয়তায় অনেক ছাপিয়ে গেছিল বলে মোহরকে দুপুরে পাঠানো হয়েছিল। এখন আবার ধুলোকণা জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে মিঠাইকে সরিয়ে দিল। ধূলোকণা আর মোহর দুটোই ম্যাজিক মোমেন্টস প্রোডাকশন হাউসের। সব মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেঁধেছে ঝগড়া।
এর মাঝেই আমরা জানিয়েছিলাম যে বয়কট জি বাংলা বলে একটি জিনিস উপস্থাপিত হতে চলেছে ফেসবুকে আর ইতিমধ্যেই চলে এসেছে এই বয়কট জি বাংলা হ্যাশট্যাগ। ফেসবুকে গ্রুপ খোলা হয়েছে বয়কট জি বাংলা বলে এবং সেখানে দলে দলে মিঠাই ভক্তরা যাচ্ছেন আর বয়কট জি বাংলা দিয়ে পোস্ট করছেন। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর মিঠাই নামে ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।এখন মিঠাই ভক্তরা একজোট হয়েছেন আগামী এক মাসের মধ্যে টিভিতে মিঠাই দেখে টিআরপি বাড়িয়ে মিঠাইয়ের পুরনো জায়গা ফেরত দেওয়া যাতে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ পুনরায় চিন্তাভাবনা করতে বাধ্য হয়। আশা করা যাচ্ছে আগামীকাল থেকেই সকলেই টিভিতে মিঠাই দেখবেন।
এবার প্রশ্ন উঠছে মিঠাইয়ের গল্প নিয়ে। এ কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে এক বছর আগে গল্পে যা উত্তেজনা ছিল বর্তমানে তার ছিটেফোঁটা নেই। গল্পে কোনরকম আকর্ষণীয় জিনিস হচ্ছে না।সিদ্ধার্থ আর মিঠাইয়ের সম্পর্কটাকে এখনো সহজ করা গেল না এতদিন হয়ে গেল। হল্লা পার্টির অতিরিক্ত হল্লা সহ্য হচ্ছে না আর। অনেক কিছু দেখানো যেতে পারত কিন্তু কিচ্ছু দেখানো হলো না আর প্রচুর সদস্য মিসিং ধারাবাহিক থেকে। বিশেষ করে সোমদা’র কেসটা খুব বাজে হয়েছে। মিষ্টি নিয়ে এত কিছু দেখানো যেত কিন্তু সেখানে উল্টোপাল্টা ওয়ান অ্যান্ড ওনলি, হালুম এসব গল্প নিয়ে আসা হলো। যেগুলোর সঙ্গে গল্পের কোন সংযুক্তি নেই। এখন হালুমকে যদি রাজি বা নন্দার হাতে তুলে দেওয়া হয় কোন ভাবে তাও বা একটা যুক্তি আছে।
সিদ্ধার্থকে এখনো নরম করা গেল না পুরোপুরি মিঠাইয়ের উপর। তাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে কিনা সেটা কেউ বুঝতে পারছে না। একটু আধটু রোমান্টিক সিন দেখানো যেতেই পারে কিন্তু বহুদিন হয়ে গেল সেটা আর দেখানো হচ্ছে না। অনেকের ধারণা ব্যক্তিগত জীবনের প্রভাব কাজে পড়েছে। আদ্রিত আর সৌমি দুজনেই আর রোমান্সে অভ্যস্ত হতে পারবে না বলে মত অনেকের।
এখন দেখা যাক তাদের এই আন্দোলনের ফল কী হয়।যদি সত্যিই তারা এক মাসে টিআরপি অনেক বাড়িয়ে তুলতে পারে আর মিঠাই আবার কোনভাবে টপার হতে পারে তাহলে হয়তো জি বাংলা কর্তৃপক্ষ ভাবনা চিন্তা করতে পারেন। এইবার আগামী দিনের টিআরপির ওপর চোখ রাখবেন সকলে।