নেমে যাওয়া টিআরপি’কে তুলতে ব্যর্থ হয়েছিল মিঠি, তবে ধারাবাহিকে মিঠাইয়ের প্রত্যাবর্তনের জেরে মোড় ঘুরেছে গল্পের। আসলে বাঙালির সিরিয়াল প্রেম প্রশ্নাতীত। বাঙালির সিরিয়াল প্রেমের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন সিরিয়াল। যদিও সম্প্রতি একাধিক চ্যানেলে বহু সিরিয়াল বন্ধ হয়ে চালু হয়েছে বিভিন্ন নতুন নতুন সিরিয়াল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথাও গিয়ে বাঙালির সিরিয়াল প্রেমে কিন্তু কোনও খামতি আসেনি! আর বর্তমানে টেলিভিশনের পর্দায় চলা বিভিন্ন ধারাবাহিকের মধ্যে অন্যতম পুরনো ধারাবাহিক হল মিঠাই! উচ্ছে বাবু ও মিঠাইয়ের প্রেমের রসায়নে দীর্ঘদিন বুঁদ ছিল বাঙালি দর্শক! যদিও সেখানে এখন ভাটা চললেও এই ধারাবাহিকে টুইস্টের কোনও অভাব নেই।
আসলে একটা সময় টেলিভিশনের পর্দায় মিঠাই’কে হারানো ছিল দুঃসাধ্য। বেশ কয়েকবার স্থানচ্যূত হলেও ফের দাপটের সঙ্গে ফিরে এসে নিজের স্থান দখল করেছে পর্দার মিঠাইরানী। একটা সময় টিআরপি কুইন বলা হত তাঁকে। টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান থেকে তাঁকে টলানো যে ভীষণ চাপের তা হাড়েহাড়ে বুঝত বিভিন্ন চ্যানেলে চলা ধারাবাহিকগুলি। যদিও সেই স্বর্ণ সময় অতীত। যদিও এই ধারাবাহিককে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা’র অভাব নেই!
ধারাবাহিকে মিঠাইয়ের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। যেমন মিষ্টি বানানো ব্যতীত মিঠাইয়ের আর অন্য কোন কিছুই মনে নেই, দর্শকদের কাছে চমক হিসেবে এসেছে মিষ্টি নামের একটি ছোট্ট মেয়ে। সে সিদ্ধার্থ ও মিঠাইয়ের সন্তান কিনা তা জানা যায়নি। বর্তমানে এক অত্যন্ত লোভী মিষ্টি বিক্রেতার বাড়িতে আশ্রিতা হিসেবে রয়েছে তাঁরা দু’জন।
যদিও মিঠাইয়ের স্মৃতি ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে সিদ্ধার্থ। ইতিমধ্যেই বিচ্ছেদও হয়ে গেছে মিঠি ও সিদ্ধার্থের। তবে এরই মধ্যে হয়ত আসতে চলেছে নতুন টুইস্ট। নফর চন্দ্র দাস তাঁর ছেলে রনির সঙ্গে মিঠাইয়ের বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। যদিও সিদ্ধার্থ ব্যতীত অন্য কারোর সঙ্গেই বিয়ে হতে পারে না মিঠাইয়ের। আর তাই দর্শকদের আশা মিঠাইয়ের বিয়ে জানতে পেরে তাকে বাঁচাতে অবশ্যই আসবে তাঁর উচ্ছে বাবু। হতেই পারে রনি-মিঠাইয়ের জন্য সাজানো বিয়ের মন্ডপে আরও একবার সাতপাক ঘুরতে পারেন মিঠাইরানী ও উচ্ছে বাবু। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ইচ্ছা প্রকাশ করে এক ভক্ত লিখেছেন, “আমরা হয়তো আরো একবার সিধাইয়ের বিয়ে দেখতে চলেছি, জয় গোপাল”