মিঠাই সিরিয়াল মানুষের ইমোশন পরিণত হয়ে গিয়েছে তা কি আর আলাদা করে বলতে লাগে। মিঠাই এতদিন তাঁদের নিজের মেয়ে হয়েই ছিল। কিন্তু এর মাঝে বার বার বহু কারণে দর্শকরা হতাশ হচ্ছে।এককালে টি আর পির শীর্ষে নিজের জায়গা টিকিয়ে থাকতো মিঠাই।
কিন্তু আজ আর টি আর পিতে বিশেষ পসার জমাতে পারছে না। নানা কারণে বার বার হতাশ হচ্ছে মিঠাই এর অনুরাগীরা। তবে তাতে পিছিয়ে যাচ্ছে না, হতাশার কথা বলে উঠছেন অনুরাগীরা। প্রোমো থেকে শুরু করে মিঠি, মিঠাইয়ের ফিরে আসা সবেতেই তাঁদের বেশ আক্ষেপ সুর ধরা দিচ্ছিল।
মিঠিকে যখন দর্শকরা ভালোবাসতে শুরু করল তখনই যেন মিঠাই ফিরে এল সিদ্ধার্থ এর জীবনে হঠাৎ করেই। তাও আবার মিষ্টিকে নিয়ে। শাক্যকে যখন সবে মায়ের আদরে মিঠি জড়িয়ে ধরল তখনই মিঠাই ফিরে এল। অমনিই যেন ত্রিকোণ প্রেমের গন্ধ ভেসে এল। কিন্তু এখানেই তো মিঠাই আলাদা। কেন আলাদা? সেই কথাও ব্যখ্যা করল খোদ অনুরাগীরা।
ত্রিকোণ প্রেমের গল্প, মিঠি মিঠাইকে নিজের প্রতিপক্ষ বা শত্রু হিসেবে ভাবা গল্প এদিকেই এগোনো স্বাভাবিক। আর এই নিয়ে দর্শকদের একদল ক্ষোভ উগড়েও দিয়েছিলেন। স্পষ্ট বললেন একজন, সিড নিজেও তো মা ছাড়া মানুষ হয়েছে। তাহলে একজন বাচ্চাকে কি মানুষ করতে পারবে না! সিড সিঙ্গল ফাদার হতেই পারে, বাচ্চা মানুষ করার জন্য বিয়ে করতেই হবে!
আরও বাকিরা বলেন, সিড এর মতো মানুষের সঙ্গে থাকলে ধীরে ধীরে তাঁর প্রেমে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু সিড কোনওদিনই তাঁর জায়গাটা মিঠাই ছাড়া কাউকেই দিতে পারবে না। এটা সিডের বাড়ির লোকেরও বোঝা উচিত। এবার লেখিকা মিঠিকে ভিলেইন করে তুলবেন।
কিন্তু এসবের পরই দর্শকদের অন্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। কারণ মিঠি কিন্তু মিঠাইকে নিজের প্রতিপক্ষ বা শত্রু হিসেবে ভাবেওনি। বরং নিজের রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য অন্য কোনও ছক কষেনি। আর এতেই বেশ খুশি হয়েছেন অনুরাগীরা। বরং তাঁরা নিজেরাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “মিঠির জায়গায় অন্য কেউ থাকলে এতক্ষণে লম্বা লিস্ট বানিয়ে মিঠাইয়ের পিছনে লাগতো”।কিন্তু সেসব কিছুই না। বরং মিঠি খুব কিন্ত আজ মিঠি দৃঢ়কন্ঠে জানিয়ে দিলো, মিঠাই ম্যামের হাতেই এই সংসার তুলে দিয়ে সে নিশ্চিত হবে।