মিঠাই ধারাবাহিকে এসেছ এক জমজমাট টুইস্ট। আসলে কিছুদিন আগেই দেখানো হয় যে টিআরপির দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়েছে এই ধারাবাহিকটি। তারপরেই ধারাবাহিক নির্মাতারা এমন গল্প মারলেও যা দেখে হুঁশ উড়ে গেছিল দর্শকদের।
দেখানো হয়েছিল রুদ্র আর নিপার বিয়ের সময় ওমি আগরওয়াল হাজির হয়। সবাই ভাবে তার সঙ্গে হয়তো বিয়ে হবে নিপার। কিন্তু এমনটা হয় না। এদিকে বদলা নিতে গিয়ে সিদ্ধার্থকে মারার বদলে গুলি করে দেয় সে মিঠাইকে। এই নিয়ে প্রবল হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল দর্শকদের মধ্যে।
দশকদের মধ্যে অনেকেই এমন দৃশ্য দেখে ভেবে নিয়েছিল যে হয়তো এবার মারা যাবে মিঠাই আর বন্ধ হয়ে যাবে জি বাংলার এই অন্যতম সেরা ধারাবাহিক।
তবে আজকের এপিসোডের লেটেস্ট প্রমো এসে গেল সামনে। দেখা যায় ওমি আগরওয়ালের প্রস্তাব শুনে কি করবে ভেবে পায় না সিদ্ধার্থ। সে তখন জানিয়ে দেয় সে ব্যবসাটা কিনতে চায় না। তার বদলে অংশীদারি কারবার করতে চায় এই ব্যবসার মাধ্যমে।
ফলে সিদ্ধার্থ উল্টে প্রস্তাব দেয় যে এই ব্যবসার মাধ্যমে যে লাভ হবে সেটা তারা ভাগ করে নেবে। এই প্রস্তাব শুনে বেশ খুশি হয়ে যায় আগরওয়াল। আর এই সুশিক্ষার জন্য সে ধন্যবাদ জানায় দাদুকে। অন্যদিকে মিঠাইয়ের ঘরে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে উচ্ছে বাবু। জানায় সে মিঠাইকে না জানিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
মিঠাই সেই সিদ্ধান্তের কথা জানতে চায়। তখন উচ্ছে বাবু জানায় আগরওয়াল আঙ্কেল একটা প্রস্তাব দিয়েছিল ব্যবসার জন্য যার পরিবর্তে সে অংশীদারি ব্যবসার প্রস্তাব দিয়েছে যাতে রাজি হয়ে গেছে আগরওয়াল আঙ্কেল। সেখানে দুই পরিবারের মিষ্টি বিক্রি হবে।
মিঠাই খুবই খুশি হয় আর বলে সেও এই ব্যবসায় যুক্ত হতে চায় উচ্ছে বাবুর সঙ্গে।এদিকে জেলে নিজের সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে যায় মিস্টার আগরওয়াল। ছেলেকে জানায় সে মোদক পরিবারের কাছে নিজের ব্যবসা বিক্রি করতে চায়। পরে সিদ্ধার্থ যে প্রস্তাব দেয় তাতে রাজি হয়ে যায় সে। এতে রেগে যায় ওমি।
ওমি বাবার কথায় রাজি না হয়ে বুকে ব্যথার নাটক শুরু করে দেয়। সে প্ল্যান করতে থাকে কীভাবে জেল থেকে বেরোবে সে। এদিকে আবার মোদক পরিবারে নীপার বিদায়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে ওমি নিজের বাবাকে বোকা বানিয়ে জেল থেকে ছাড়া পাবে এবং রিসেপশনে এসে গুলি করবে মিঠাইকে।