মিঠাইয়ের (Mithai) প্রতি অনাচার আর দর্শকরা নিতে পারছে না। যে মেয়ে এত কষ্ট করছে তার ওপর এত বদনাম দর্শকরা নিতে পারছেন না। এমনিতেও ভাবতে হবে, মিঠাই ধারাবহিকটিকে মানুষজন এত বছর ধরে ভালোবাসে, তার তো নিশ্চই কোনও কারণ আছে। মূল কারণটি হল স্রোতের বিপরীতে হাঁটে এই ধারাবাহিকটি। যেখানে ত্রিকোণ প্রেম, ছলচাতুরি, উড়ন্ত সিঁদুর এইসব নিয়ে সিরিয়াল তৈরি হচ্ছে। তখন আপোষ, মায়া, স্নিগ্ধতা নিয়ে ধারাবাহিক গড়ে উঠছে। তাই আলাদা।
এছাড়াও মিঠাইয়ের পাশাপাশি মিঠি আর মিঠাইয়ের দুই বাচ্চা মিষ্টি আর শাক্যও দর্শকদের প্রচুর ভালোবাসা কুড়িয়ে নিচ্ছে। তবে শুধু ভালোবাসা নয়, বেশ কয়েকজনের জন্য অনেক বেশি অভিশাপ কুড়িয়ে নিচ্ছেন। আর তিনি কেউ নন, সিডের ঠাম্মি। কিন্তু বার বার আশাহত হচ্ছেন দর্শকরা। মিঠাই আর সিদ্ধার্থ এক হয়েও এক হতে পারছেন না। কিন্তু এর মাঝে দর্শকদের রাগ “ঠাম্মি”-র ওপর।
কারণ ঠাম্মি চেয়েছিলেন সিডের বিয়ে মিঠির সঙ্গেই হোক। কিন্তু এত দিনের অপেক্ষার পর যেন এটা আর দেখতেই পারছেন না। একজন অনুরাগী তাই ফেসবুকে লিখেই দিলেন, “কে বলবে ঠাম্মির বয়স ৮০ হয়েছে। নাতির বিয় নিয়ে এত লাফালাফি করছেন যেন নিজের বিয়ে!” তাঁর মাঝে আরও একটা ছলছাতুরি।
মিঠাইয়ের ছেলে শাক্যকে বাঁচাতে গিয়ে মিঠাই আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সেসব না হয়ে মিঠাই ফিরে এসেছেন। সাথে নিয়ে এসেছেন ছোট্ট মিষ্টিকে। কিন্তু মিষ্টি কার মেয়ে এই নিয়ে অনেক কাদা ছোঁড়া হয়েছে। অথচ মিঠাইয়েরও স্মৃতি লোপ পেয়েছে।
কিন্তু একজন ছিল যে প্রথম থেকে সব জানত, আর তিনি কেউ নন ঠাম্মি। যখন মিঠাই অ্যাকসিডেন্ট করছে তখনই জানতো যে মিঠাই প্রেগন্যান্ট। কিন্তু একথা কাউকে জানাননি। আর এতেই তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছে দর্শকরা। সত্যিই, যে জীবনে এতটা কষ্ট করে একটু গুছিয়ে উঠছিল তাঁকে এতটা কষ্ট দেওয়ার কোনও মানে আছে!