বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার সব থেকে আলোচিত ধারাবাহিকের নাম হলো মিঠাই। সত্যি কথা বলতে এই ধারাবাহিক বিগত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে কিন্তু বিতর্ক কম হয়নি। প্রধান তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছে। বর্তমানে ধারাবাহিক টির সময় পরিবর্তনের খবর সামনে এসেছে আর এতে অনেকেই দুই তারকাকে দোষারোপ করে যাচ্ছে সমানে।
আর এবার ধারাবাহিকে এমন বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে যা দেখে অবাক হয়ে যাবেন মিঠাই ভক্তরা। জানা যাচ্ছে দাদাই ঠাম্মি গল্প থেকে বেরিয়ে যাবে। গল্পে আসবে বড়সড় পরিবর্তন এবং সিদ্ধার্থ আর মিঠাই নিজের পরবর্তী প্রজন্মকে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ করবে। হয়তো এই কারণেই হালুমের গল্পটা আনা হয়েছিল না হলে হঠাৎ করে মিঠাই কে প্রেগন্যান্ট দেখিয়ে দিলে গল্প জমত না। কিন্তু আবার সিদ্ধার্থ হঠাৎ করে রাজি হয়ে গেছে এটাও দেখানো যেত না তাই হয়তো কিডন্যাপিং এর গল্পটা আনতে হয়েছিল যাতে সিদ্ধার্থ রাজি হয়।
আজকের এপিসোডে যা দেখা যাবে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে মিঠাই মা হতে চলেছে এবং তার পরবর্তী প্রজন্ম যে হবে সে বড় হয়ে যাবে এইটা দিয়েই গল্পটা শেষ হবে। মিঠাই যখন আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বের হতে যাবে তার কপালে সিঁদুর লেপটানো দেখানো হবে। সিরিয়ালে, সিনেমায় এটা দেখানো মানেই রাতে ফুলশয্যা হয়েছে। সেই অবস্থায় উঠায় যখন নিজেকে আয়নায় ঠিকঠাক করবে তখন তিন ননদ যাদের মিঠাইয়ের ঘরে অকারণে উঁকি ঝুঁকি মারার স্বভাব আছে, তারা সেটা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখবে, সাত সকালেই মনোহরা চলে এসেছে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে। তখন নন্দা বলবে মিঠাই কে, ‘এই মিঠাই আমাদের ছোট্ট হালুম আসতে চলেছে না’, মিঠাই লজ্জা পেয়ে যাবে।
মা হবে এটা খুব ভালো কথা। কিন্তু যেভাবে এগুলো দেখানো হচ্ছে সেটা পছন্দ নয় দর্শকদের। মিঠাইয়ের অনেক কিছু করার কথা ছিল সেগুলো না করে আচমকা ২১ বছর বয়সে সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে নেওয়া তাও সিদ্ধার্থ একটা কিডন্যাপিং এর পরে কী করে রেডি হয়ে গেল সেটা কারোর(যারা নিরপেক্ষ ভক্ত) মাথায় ঢুকছেনা। এছাড়া নন্দার এইভাবে বলাটা অনেকে পছন্দ করছেন না (অবশ্যই এর পেছনে ব্যক্তিগত বাস্তব জীবনের কারণ রয়েছে)।
অনেকেই এটা মনে করেন যে মিঠাই মোদক পরিবারের কাজের বউ হয়েই থেকে গেল। একথা অবশ্যই মানতে হবে তাকে পাগলের মত ভালবাসার মত পরিবার কিন্তু সে এত কাজ করে তাকে হেল্প করতে কেউ এগিয়ে আসে না একমাত্র ছোট জা আর পিপি ছাড়া। সব সময় সবকিছু কাজ সে একাই করছে বাড়িতে, এটা বারবার প্রজেক্ট করে যেন এটাই বোঝানো হয় বাড়ির বউদের এই একটাই কাজ। কিন্তু বাড়ির মেয়েরা পরের বাড়ির বউ তারা কিন্তু শ্বশুর বাড়িতে কোনো রকম কাজ করে না। শ্রীতমা তো মিঠাইয়ের থেকে বড় তাহলে তাকে কেন কেউ বলল না, ছোট্ট রাতুল বা শ্রী আনতে? তিন বোনের এই সারাক্ষণ ভাই আর ভাই বৌয়ের জীবনে নাক গলানোটা অসহ্য লাগে অনেকের। এক নেটিজেন তো কাল সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেই দিয়েছিলেন যে বাস্তব জীবনে কোন বাড়ির বউ এর সঙ্গে তার ননদ এরকম এত নাক গলালে তবে সাংসারিক অশান্তি তৈরি হয়ে যেত।
যাই হোক এসব বিতর্কিত কথা থাক কারণ এইগুলো প্রকাশিত হলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। নিরপেক্ষ ভাবে একদম চোখ কান খুলে কেউ যদি মিঠাইয়ের জায়গায় নিজেকে বসায় বাড়ির বউ হিসাবে সে বুঝতে পারবে। বিবাহিতা মহিলারা বুঝতে পারবে। তবে এইভাবে আচমকা মিঠাই কে মা বানিয়ে দিয়ে ধারাবাহিক শেষ হবে এটাও মানতে পারছেন না প্রচুরজন। তবে আশা করা যায় শেষের কয়েক মাস গল্প ভালই হবে।