শুরু থেকেই ‘খেলনা বাড়ি’ নামকরণের মূল উৎসকে তুলে ধরেছে লেখক। ধারাবাহিকের শুরুতে দেখানো হয়, মিতুল পাল একজন খেলনা বিক্রেতা। আর সেই মিতুলের ছা-পোষা জীবনে ঢুকে পড়বে ধনী ব্যবসায়ী ইন্দ্র। আর সেখান থেকেই গল্পের শুরু। টিআরপিতে ভালো জায়গা দখল করে রয়েছে জি বাংলার এই ‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিক।
এই ‘খেলনা বাড়ি’তে লিড রোলে রয়েছেন ‘কে আপন কে পর’ খ্যাত বিশ্বজিত্ ঘোষ। আর নায়িকার চরিত্রে রয়েছেন আরাত্রিকা মাইতি। প্রথম বিয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা আঁকড়ে ধরেই কাটছিল ইন্দ্র-এর জীবন। আর সেই জীবনে মিতুল এসে সব আগের মতো সুন্দর করে তোলার চেষ্টায় লেগে গেল। এদিকে নকল আগের স্ত্রী অন্তরা সেজে একজন নানানভাবে ইন্দ্রের উপর জোর জুলুম করতে থাকে।
অথচ পরিবারের কাউকে নিজের সেই চাপা দুঃখের কথা জানতে দিতে চায় না সে। ইন্দ্র নিজের নতুন হোটেলের জন্য যে জায়গা বেছে নিয়েছে, সেখানেই খেলনা বিক্রি করত মিতুল। সেখান থেকেই তাদের পরিচয়। আর তারপরই বিয়ে করে মিতুল ইন্দ্রের বাড়িতে আসে। মিতুলই সামনে আনে যে অন্তরা আসলে বেঁচে নেই।
আর যে অন্তরা ইন্দ্রের আগের স্ত্রীর দাবি করছে, সে আসলে নকল। আর তারপরই আসে গল্পে নতুন চমক। মিতুলকে অন্তরার চক্রান্ত থেকে বাঁচাতে আসল অন্তরার ভুত এন্ট্রি নেয় গল্পে। এমনকি নকল অন্তরা প্রমান করতেও মিতুলকে সাহায্য করে সেই ভুত। আর এই অন্তরার ঘোলাটে রহস্য সমাধান করতে না করতেই মিতুল-ইন্দ্রের জীবনে এল খুশির খবর।
মিতুল গর্ভবতী। মা হওয়ার খুশিতে ইন্দ্রের পরিবার যেমন খুশি তেমনি দর্শকরাও। ডাক্তার অর্থাৎ মিতুলের ননদ এই খুশির খবর তাঁদের দেয়। যদিও আমরা জানি, ধারাবাহিকে খুশির দিন বেশি টেকে না। তবে আপাতত এই খুশিতে মেতেছেন দর্শকরাও। একজন আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিকতার সাথে লিখেছেন, ‘কলিঃ কঠিন রোগে আক্রান্ত মিতুল। রোগের নাম অ্যাঁও অ্যাঁও।’ ‘অ্যাঁও অ্যাঁও’ অর্থাৎ সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের কান্নার শব্দ- সেটাকেই এরূপ হাস্যরসের মধ্যে দিয়ে সকলের কাছে তুলে ধরেছেন।