আমরা বাঙালিদের একটা ভালো স্বভাব আছে, আর সেটাই অবশ্য বাজেও। আমরা যতই এদিক ওদিকের সংস্কৃতিতে নেচে বেড়াই না কেন, আঁকড়ে থাকি নিজের মাটি ধরেই। তবে বর্তমান ধারাবাহিকে তার কতটুকু দেখা যায়। যদিও এই নিয়ে বেশ ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে (Neem Fuler Modhu)।
যদিও বাঙালির এই স্বভাবের ভালো আর খারাপ দুই দিকই তুলে ধরেছে এই ধারাবাহিক। প্রথমে খারাপ দিকটা বললে, ধারাবাহিকে এমন সময় দেখানো হচ্ছে যেন মন্ধ্যাতার আমলে পড়ে রয়েছে। আর এই নিয়ে দেদার ট্রলও হচ্ছে। আর হবে নাই বা কেন! ধারাবাহিকটি উত্তর কোলকাতার খুব সেকেলে পরিবারকে তুলে ধরা হয়েছে। সেই পরিবারটি অত্যন্ত মধ্যবিত্ত বাড়ির কথা তুলে ধরা হয়েছে।
আর মধ্যবিত্ত বাড়ি নিয়ে বরাবরই বহু কাব্য হয়েছে। মধ্যবিত্ত বাড়ির সবকিছু খুব গুছিয়ে রাখা হয়। একটা ডালের দানা থেকে এক বাটি চাল সবই খুব হিসেবে রাখা হয়। বাড়ির বউ চাকরি করলে সমস্যা, আরও অনেক সমস্যাই।
আর এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও আলোচনার শেষ নেই। তবে ভালো দিকও বেশ কিছু দেখানো হচ্ছে। ধারাবাহিক মানেই এখন যেন ত্রিকোণ প্রেম, পরকীয়া এত কিছু। আর নাহলে অনেক ছোটবেলার প্রেম থাকবে, সেই প্রেমের বিরুদ্ধে সবাই ষড়যন্ত্র করবে।
অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ বলে যে কিছু হয় এবং তা যথেষ্ট সুস্থ স্বাভাবিকভাবেই হয়, তা যেন বাংলা ধারাবাহিক দেখাতে ভুলে গিয়েছে। আর এই ধারাবাহিক এখানেই আলাদা। এই নিয়েও দর্শকরা যথেষ্ট কথাবার্তা বলেছেন। কোনও উড়ন্ত সিঁদুর নয়, ঘরোয়া যৌথ পরিবারে সুন্দর স্বাভাবিক ছন্দে একটা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। আর এর জন্য নির্মাতাদের রীতিমতো ধন্যবাদ জানাচ্ছেন দর্শকরা।