জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের চলতি সপ্তাহেই এসছে অনেক বড় পরিবর্তন। এক ঝটকায় ‘মিঠাই’ এর মৃত্যুতে মোদক পরিবারে এসেছে অনেক বড় ঝড়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু বছর এগিয়ে এসেছে তাদের জীবন। শ্রী, নিপা, নন্দা প্রত্যেকেরই লুকে এসছে বিরাট পরিবর্তন। সেই সঙ্গে আবার মিঠাইয়ের উচ্ছে বাবু রাতারাতি ময়রা থেকে হয়ে গেছেন পুলিশ অফিসার। এখন মিঠাই এবং সিদ্ধার্থের ছেলে শাক্য যা বদমাইশি করে তাই নিয়েই সবাই মেতে থাকে।
তবে মিঠাই মারা যাওয়ার পরে মিঠি রূপে ফিরে আসতে দেখা গেছে সৌমিতৃষাকে। সেই ঝলক সামনে আসতেই মিঠি আর মিঠাই একি মানুষ নাকি, দুই জমজ বোন নাকি, মিঠি একেবারে একদম আলাদা কোন মানুষ? এই নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
তবে ‘মিঠাই’য়ের নতুন অধ্যায়ের শুরুতেই এই সিরিয়াল ব্যাপক ট্রোলিং এর মুখে পড়েছে। প্রথমেই সিদ্ধার্থ অর্থাৎ মিঠাইয়ের উচ্ছেবাবু রাতারাতি ময়রা থেকে কি করে পুলিশ অফিসার হয়ে গেল! এই নিয়ে নানারকম সমালোচনা চলেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানেই একজন লিখেছেন, ‘কর্পোরেট চাকুরী থেকে মিষ্টিওয়ালা থেকে রিকি রকস্টার থেকে আবার মিষ্টিওয়ালা থেকে পুলিশ অফিসার। মানব সভ্যতার ক্রম বিবর্তন যেন..’।
তবে এবার আবার একবার সোশ্যাল মিডিয়াতে কটাক্ষের শিকার হল ‘মিঠাই’ ধারাবাহিক। প্রসঙ্গত মিঠি চরিত্রটির আগমন হয়েছে পাহাড়ের সামনে থেকে। মিঠিকে দেখানো হচ্ছে সে পাহাড়ের মেয়ে। কিন্তু সেখানে যে পাহাড়গুলো দেখানো হয়েছে তা যে কৃত্রিমভাবে তৈরি তা ভালোভাবেই বোঝা গেছে।
প্রসঙ্গত সেই দৃশ্য থেকে কারুর বুঝতে বাকি নেই ওই দৃশ্য ক্রোমা স্ক্রিনে শ্যুট করা, তারপর গ্রাফিক্সের মাধ্যমে পাহাড় বসানো হয়েছে। কিন্তু সেই গ্রাফিক্সের কাজ এতটাই নিম্নমানের যা চোখে লেগেছে ভীষণরকমভাবে। যা দেখে হতাশ ভক্তরা। অনেকেই লিখছেন, ‘সস্তার কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখালো, টাকা নেই জি কাকুর’। মিঠির এই লুক দেখে অনেকে লিখেছেন, ‘পুরো কিরণমালার পিশাচিনির মতো লাগছে’। কেউ আবার লিখেছেন, ‘এ তো পুরো কার্টুন লাগছে’।