জি বাংলার সবথেকে জনপ্রিয় সিরিয়াল হলো মিঠাই। সুখে-দুখে মিষ্টিমুখে আমরা দেড় বছর কাটিয়ে দিয়েছি সিরিয়ালের সঙ্গে। শুরু থেকে অনেক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গেছে মোদক পরিবার কিন্তু কখনো হাল ছেড়ে দেয় নি। হাসি-কান্নায় জমজমাট থেকেছে মনোহরা।
তবে গতমাসে সব হিসাবটা ওলট পালট হয়ে যায়। সিদ্ধার্থের অ্যাক্সিডেন্ট হয়। সিদ্ধার্থ গাড়ি নিয়ে জলে পড়ে যায়। অ্যাকসিডেন্টটা করিয়েছিল পিসেমশাই আর ওমি আগরওয়াল মিলে। কিন্তু সিড কে বাঁচিয়ে নেয় অ্যাঞ্জি। পরবর্তীকালে দুজনেই চলে আসে মোদক পরিবারে তবে এতদিন রিকি সেজেছিল সিড।
দর্শকরা এই পরিবর্তনকে মেনে নেয়নি তাই টিআরপি রেটিং তালিকায় তার প্রভাব পড়েছে। যবে প্রিয়াঞ্জলি কে সরানো হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে যে রিকি মিঠাইকে বলেছে তবে থেকে টিআরপি একটু একটু করে বাড়ছে। কিন্তু কালকের এপিসোড দেখে আবার মাথা গরম হয়ে গেছে মিঠাই ভক্তদের।
কালকে মিঠাই অসুস্থ হয়ে যায় যদিও সিড তাকে সুস্থ করে তোলে। পরবর্তীকালে প্রিয়াঞ্জলি সেখানে আসে এবং মিঠাই তাকে দেখে বলে, উচ্ছে বাবু তো ভালোবাসার মতন, তুমি উচ্ছে বাবু কে ভালবেসে ফেলেছ, আমি অনেক দূরে চলে যাবো।
আর এটা শুনেই রেগে লাল মিঠাই এর ভক্তরা। তাদের মতে এটা কি ফুলঝুরি পার্ট 2? নিজের ভালবাসার স্বার্থে লালনকে চড়ুইয়ের হাতে তুলে দেয় ফুলঝুরি। এখানেও কি মিঠাই মহৎ হয়ে প্রিয়াঞ্জলি কে সিডের হাতে তুলে দেবে নাকি? যদি এরকমটা হয় তাহলে তারা সিরিয়াল দেখা ছেড়ে দেবেন। বস্তুত মিঠাইয়ের চরিত্রটা অনেক শক্তিশালী হিসেবে দেখানো হয়েছে এতদিন কিন্তু মিঠাই কে এইভাবে নিজের স্বামীকে অন্য একটা মেয়ের হাতে তুলে দেওয়ার মত মহান সাজানোটা দর্শকরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।
এতদিন ফুলঝুরি এই ন্যাকামিটা করে এসেছে বলে সবাই ফুলঝুরিকে ন্যাকাঝুরি বলছিলেন। এখন যদি মিঠাই সেই কাজটাই করে তাহলে তাকে ন্যাকাই কেন বলা হবে না বলুন তো।