জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দিতিপ্রিয়ার শূন্যস্থান পূরণে নির্মাতাদের দারুন চমক! সবাইকে ছাপিয়ে লুক-টেস্টে বাজিমাত করলেন ঝাড়গ্রামের এক তরুণী! ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’এ নতুন ‘অপর্ণা’ হয়ে জিতুর সঙ্গে জুটি বাঁধছেন তিনিই! হঠাৎ কেন সুযোগ পেলেন তিনি?

জি বাংলা ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর (Chirodini Tumi Je Amar) নতুন ‘অপর্ণা’কে ঘিরে টেলিপাড়ার কৌতূহল এখন চরমে! তবে যত দিন যাচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে, এই জল্পনার ভিড় শুধু চেনা মুখদের মধ্যে আটকে নেই। দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy) চরিত্রটি ফুটিয়ে ছাড়ার পর থেকেই নানান নাম উঠে এলেও, শেষ পর্যন্ত আলো যেন থিতিয়ে পড়ছে এক নতুন সম্ভাবনার দিকে। ধারাবাহিকের শুটিং গত এক সপ্তাহ ধরে অপর্ণাকে ছাড়াই চলেছে। এই প্রেক্ষিতেই সামনে এসেছে এক মঞ্চাভিনেত্রীর নাম, যিনি নাকি চ্যানেল এবং প্রযোজনা সংস্থার নজর কেড়েছেন লুক-টেস্টে অংশ নেওয়া চারজনের মধ্যেই একজন।

আসলে প্রথমদিকে যে নামগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছিল, প্রত্যুষা পাল, সম্পূর্ণা মণ্ডল কিংবা নবাগত সৃজা দত্ত– সবাইকে নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও কোনওটাই নিশ্চিত সংবাদে পরিণত হয়নি। বিশেষ করে সম্পূর্ণা মণ্ডল নাকি এগিয়ে বলেই বেশিরভাগ সূত্র দাবি করেছিল আর দর্শকরাও সেই সম্ভাবনাকে স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসার ফলে জল্পনায় ছেদ না পড়ে বরং আরও নতুন মোড় যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যেই বুধবার নাকি চারজন অভিনেত্রীর লুক-টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে বলেই জানা যায়।

সেই লুক-টেস্টের তালিকাতেই ছিলেন ‘শিরিন পাল’, মঞ্চ থেকে উঠে আসা এক তরুণী, যার নামটা বেশিরভাগ দর্শকের কাছেই নতুন। শোনা যাচ্ছে, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাঁর অভিনয় এবং স্ক্রিন-প্রেজেন্সে সন্তুষ্ট আর তাই তাকেই চূড়ান্ত করার দিকেই নাকি ঝুঁকেছে প্রযোজনা সংস্থা। যদিও কর্তৃপক্ষের কেউ এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি এখনও। তবু ভিতরের খবর বলছে, সিদ্ধান্ত একপ্রকার চূড়ান্ত। নতুন মুখকে নিয়ে চেষ্টা করার ইচ্ছেও নির্মাতাদের মধ্যে নাকি আগেই ছিল।

এদিকে, শিরিনের ব্যক্তিগত যাত্রাপথটাও বেশ আকর্ষণীয়। ঝাড়গ্রামে বেড়ে ওঠা এই তরুণী, অনেক দিন ধরেই মঞ্চে অভিনয় করছেন। পারিবারিকভাবেও শিল্পের সঙ্গে তাঁর যোগ, ‘ঝাড়গ্রাম কথাকৃতি’ নামে একটি সাংস্কৃতিক দল নাকি তাঁর মা-বাবার পরিচালনায় চলে। ছোটবেলা থেকেই নাটকের আবহে বড় হওয়া শিরিন পরে পড়াশোনা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আর এখন মাস্টার্স করছেন। অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুও নাকি তাঁর উৎসাহের বড় ভরসা, যার প্রভাব তাঁর কাজের ধরন আর গতিতেই স্পষ্ট।

সব মিলিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে যে, দিতিপ্রিয়ার জায়গায় শেষ পর্যন্ত কি সত্যিই শিরিন পাল-ই দেখা যেতে চলেছে? দর্শকদের আগ্রহ, টিআরপি-র চাপ আর বিতর্কের পর ধারাবাহিকটিকে নতুন ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা সবার চোখে পড়ার মতো। সবই মিলিয়ে এই সিদ্ধান্তটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও, বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকালে মনে হচ্ছে, অপর্ণা কে হবে সেই রহস্যভেদ আর বেশি দিন দূরে নয়।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page