বর্তমানে স্টার জলসার সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল গাঁটছড়া তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে কামাল করছে ধুলোকণা। চলতি সপ্তাহের টপার হয়েছে ধূলোকণা এবং হচ্ছে তাতে আশা করা যাচ্ছে যে সামনের সপ্তাহেও টপার হবে ধূলোকণা। লালন চড়ুইকে বিয়ে করে ফেলেছে তার কারণ ফুলঝুরির ন্যাকামো।
কিন্তু গাঁটছড়াকে ভুললে চলবে না তার কারণ গাঁটছড়ায় রয়েছে খড়ি। সত্যি বলতে বাংলা সিরিয়ালে সম্প্রতি সবথেকে প্রতিবাদী চরিত্রে যদি কেউ থেকে থাকে সে হলো গাঁটছড়ার খড়ি। সহচরী মাঝে প্রতিবাদকরেছিল ঠিকই কিন্তু যেভাবে সে আবার বিভিন্ন সন্তানের জন্য উন্মুখ হয়ে ওই বাড়িতেই থেকে যায় তারপর থেকেই সহচরীকে আর প্রতিবাদী বলা চলে না।কিন্তু খড়ি যেভাবে সিংহ রায় পরিবারের সকলের মুখে ঝামা ঘষে নিজের বাড়িতে ফিরে এসে আবার পাড়ার কাকিমাদের মুখে ঝামা ঘষে তা এককথায় সত্যিই শিক্ষনীয়।
এতদিন আমরা দেখে এসেছি যে সিরিয়ালে যা কিছু আছে সব খড়ির দোষ।সিংহ রায় পরিবারের যা কিছু হবে তাতে দোষ সব সময় পড়বে খড়ির ঘাড়ে। মাঝে তো ফেসবুকে একটা লাইন ট্রেন্ডিং হয়ে গেছিল যে সব খড়ির দোষ।এমনকি প্রতিবাদে এপিসোডের খড়ি পর্যন্ত বলে ফেলেছিল যে যেখানে যা কিছু হবে সব দোষ খড়ির,খড়ির,খড়ির আর খড়ির।তারপর সে নিজেকেই নিজের শাস্তি দিতে সিংহ রায় পরিবার ছেড়ে চলে যায়।
তবে দাদু ঋদ্ধিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ঘরের লক্ষ্মীকে যেভাবেই হোক ফিরিয়ে আনতে হবে।এরপরে ঋদ্ধি যখন কোলে তুলে ফেরাতে নিয়ে আসে খড়িকে তখন খড়ি কামড়াবার ভয় দেখিয়ে দেয়। এরপরে খড়ি নিজের বাড়ির দরজা ঋদ্ধির মুখের উপর বন্ধ করে দিতে যায়। এখন পাল্টা খড়ি সব দোষ চাপাচ্ছে ঋদ্ধির উপর। তার কারণ আদি কালীবাড়িতে খড়ির যে দশকর্মার দোকান ছিল সেটা নাকি ভেঙে দিয়েছে ঋদ্ধি। আসলে সেটা ভেঙেছে রাহুল কিন্তু খড়ি সেটা জানে না।তাই এখন সব দোষ ঋদ্ধির। আর এতেই ভীষণ মজা পেয়েছেন দর্শকরা।