এক মাসও হয়নি দুজনে একসঙ্গে থাকা শুরু করেছিলেন। প্রেমিক সাগ্নিকের সঙ্গে থাকতেন। আর রবিবার উদ্ধার হল টলিউড অভিনেত্রী পল্লবী দের মৃতদেহ। নায়িকা মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। টলিপাড়ায় সকলেই জানতেন সাগ্নিক এবং পল্লবী লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন কিন্তু যেখানে থাকতেন সেই পাড়ার সবাই জানতেন তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। সেই পরিচয়েই দুজনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। তাহলে কি গোপনে সত্যিই বিয়ে করেছিলেন দুজনে?
গড়ফা কেপি লেনের ঐ আবাসনের কেয়ারটেকার জানান মাত্র কিছুদিন আগেই তাঁরা ভাড়া আসেন। সেভাবে তিনি অভিনেত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে চেনেন না। রবিবার তিনি ছেলেটির চিৎকার শুনতে পান হঠাৎ। তারপর তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। তখন তিনি গিয়ে নায়িকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এদিকে সাগ্নিকের সাথে পল্লবীর বাড়ির লোকেদের সম্পর্ক বেশ ভালো বলে জানা গেছে। শেষ তিন দিন আগে পল্লবী নিজের বাড়িতে ফোন করেন।
পল্লবীর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ নিয়ে কিছু বলতে চাননি সাগ্নিকের বাবা সুভাষ চক্রবর্তী। তিনি জানেন ছেলে মেয়ে দুজন লিভ ইন করত বলেই জানা গিয়েছিল। যদিও তাঁরা এতে মত দেননি। তাঁরা চাইতেন ওঁরা বিয়ে করে নিক।
সাগ্নিকের মা জানান মাঝে মাঝে পল্লবীর সাথে কথা হতো,দুজনেরই মাথা গরম ছিল খুব বেশী। সাগ্নিক অনলাইনে কাজ করতেন বাড়িতে বসেই।
তাহলে কি পরিবারের মান রাখতে গিয়ে বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন দুজনে? ২৬ ফেব্রুয়ারির একটি ফেসবুক পোস্টে দেখা গিয়েছে পল্লবীকে প্রপোজ করছেন সাগ্নিক। হাতে রয়েছে একটি আংটি। হাত বাড়িয়ে রয়েছেন নায়িকা। ক্যাপশনে লিখেছেন “ফাইনালি”। তাহলে কি চুপি চুপি বাগদান অথবা বিয়ে যে কোনও একটা করে ফেলেছিলেন?