জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “পরিণীতা” (Parineeta) এক সাধারণ মেয়ে পারুলের জীবনসংগ্রামের গল্প বলে। পারুল চক্রবর্তী (Ishani Chatterjee), এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে, যে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে। তার জীবনে আসে রায়ান বসু (Uday Pratap Singh) , একজন সফল ও আধুনিক চিন্তাধারার যুবক। ভাগ্যের পরিহাসে পারুল ও রায়ানের জীবন এক সুতোয় বাঁধা পড়ে, কিন্তু তাদের সম্পর্ক নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। ধারাবাহিকটির মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন ঈশানী চট্টোপাধ্যায় (পারুল চক্রবর্তী) এবং উদয় প্রতাপ সিং (রায়ান বসু)।
আজকের খেলা শুরুতে দেখা যায়, পারুল সব সাধু বাবাদের পেট ভরে খাবার খাওয়ায়। সব সাধু বাবা তাকে আশীর্বাদ করে গেলেও একজন কিছু বলে না এতে পারুলের মন খারাপ হওয়ায় তার দাদাও তাকে বোঝায় হয়তো এই সাধুবাবা মৌনব্রত রেখেছে তাই কিছু বলছেন না। এরপর পারুল সবাইকে খাবার জন্য ডেকে আনতে বলে দেখতে পায় খাবার অনেক কম রয়েছে। এরপর সবাই খাবার খেতে চলে আসে এমন সময় শম্ভু ও অতসী কাঁদতে কাঁদতে সেখানে উপস্থিত হয় এবং জানায় তাদের সব সোনা দানা চুরি গেছে।

সবাই যখন জিজ্ঞেস করে কিভাবে হয়েছে তখন অতসী জানায় একজন সাধু বাবা আশীর্বাদ করার নামে সোনাদানা তাকে খুলে দিতে বললে সে যেই মুহূর্তে খুলে দেয় সাধু বাবা সব নিয়ে পালিয়ে যায়। শম্ভু মনে মনে বলে “এটা পুরোটাই নাটক, আসলে যারা চুরি করেছে তারা আমরাই। যাতে কারো সন্দেহ না হয় আশেপাশে চুরি কিভাবে হচ্ছে তাই এই নাটকটা অতসীকে করতে বললাম।” এরই মধ্যে রায়ান তার বন্ধুদের নিয়ে হাজির হয়। তাদের দেখে সবাই খানিকটা অবাক হয়।
রায়ান বলে, “কিছু খাবার পাওয়া যাবে? আমাদের সব টাকা পয়সা চুরি হয়ে গেছে।” এবার ও সেই সাধুবাবাই তাদের সব চুরি করে নিয়েছে বলে জানা যায়। পারুল রায়ানকে বলে খাবার অল্প আছে তাই ভাগাভাগি করে খেতে হবে। এতে রায়ান রাজি হয় এবং দেখা যায় সবাই দুজন দুজন করে একই থালায় খাবার খাচ্ছে। রায়ানের জন্য থালায় খাবার সাজিয়ে নিয়ে আসে পারুল। রায়ান যখন জানতে চায় পারুল খাবেন কিনা তখন সে জানায়, “আমার সাথে খেতে তো তোর রুচিতে বাঁধবে তাই তুই খা”।
রায়ান বলে পারুল না খেলে সেও খাবেনা। এরপর দুজনেই এক থালা থেকে খেতে শুরু করে। শিরিন এইসব দেখে মোটেই খুশি হয় না। পরের সিন এ দেখানো হয় অতসী চুরি করা জিনিস গুলো ব্যাগে রাখতে গিয়ে ধনুর কাছে ধরা পড়ে যায়। তার মুখ বন্ধ করতে শিরিনের ব্যাগ থেকে চাবির রিং খুলে সে ধনুকে দিয়ে দেয়। এরপর বসু বাড়িতে দেখানো হয় ঠাকুমা পারুলের জন্য গয়না শাড়ি সব গোছাচ্ছে তার বাপের বাড়ি পাঠাবে বলে। তিনি মনে মনে আফসোস করতে থাকেন পারুলের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া।
আরও পড়ুনঃ গণসঙ্গীতেই সীমাবদ্ধ নয় আরাত্রিকা! তার ক্লাসিক্যাল গান শুনলে অবাক হতে হয়! ফের নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে বিচারকরা
অন্যদিকে রাতের বেলা সবাই ক্লান্ত হয়ে যাওয়ায় পারুল সবার জন্য চা করে নিয়ে যায়। সেখানে তার বোনেরা তাকে খোঁচা মেরে বলে, “শ্বশুরবাড়ি দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে তাও মেয়ের হাসি কমছে না।” এ বিষয়ে পারুলের জেঠিমাও তাকে বলে যে গ্রামের আর পাঁচটা লোকও তাকে নিয়ে এইসব কথা বলছে। বসু পরিবারে বিয়ে হয়েছে এটা তার ভাগ্য, কিন্তু তারা সব তাদের মেয়ের গুন দেখে অন্য মেয়ের গুণ দেখে না। এই কথা শুনে অনু কিছুটা মনে কষ্ট পায়। পারুল সেটা বুঝতে পেরে তাকে সান্তনা দেয়।
আরেক দিকে শিরিন তার বাবার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে টাকা পয়সা জোগাড় করার জন্য কিন্তু কোনোভাবেই মোবাইল নেটওয়ার্ক সে পায় না। রায়ান বলে বেশি দূরে যাবার প্রয়োজন নেই এটা অচেনা জায়গা যে কোন সময় বিপদ হতে পারে। শিরিন ফোন করতে গিয়ে বাইরে বেরোলে দেখতে পাই। ধনু সেই চাবির রিংটা নিয়ে খেলা করছে। এরপর সেদিন রেগে গিয়ে ধনুকের চোর বলে ঝামেলা শুরু করে এবং চড় মারতে যায়। কোন সময় পারুল এসে তার হাত আটকে দেয়। এই উত্তেজনার মুহূর্তেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়।