জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’ দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। পারুলের জীবনের চড়াই-উতরাই, তার স্বপ্নপূরণের লড়াই, এবং রায়ানের সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন দর্শকদের রোমাঞ্চিত করে তুলছে। পারুল একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেয়ে, যে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখে, অথচ ভাগ্যের পরিহাসে তাকে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। এই ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্ব দর্শকদের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে, যেখানে পারুলের জীবন এক চরম সংকটের মুখে পড়ে এবং রায়ান এসে তাকে বাঁচায়।
সম্প্রতি পর্বে দেখা যাচ্ছে, সমিরন, যে একসময় পারুলের জন্য নির্ধারিত পাত্র ছিল, সে হঠাৎ করেই তার উপর হামলা চালায়। সমিরনের সঙ্গে পারুলের বিয়ে ঠিক হলেও পরে তা ভেঙে যায়, এবং এই অপমানের প্রতিশোধ নিতেই সে পারুলের ক্ষতি করতে চায়। ঘটনাক্রমে, পারুল যখন বিপদে পড়ে, তখন সে রায়ানের নাম ধরে চিৎকার করতে থাকে। রায়ান তার চিৎকার শুনে সঙ্গে সঙ্গে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে এবং দেখে, পারুল মেঝেতে পড়ে আছে, আর সমিরন তাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। রায়ান রাগে ফেটে পড়ে এবং সমিরনের সঙ্গে লড়াই শুরু করে। সে চিৎকার করে বলে, “পারুলের গায়ে হাত তোলার সাহস কী করে হল তোর?” দুইজনের মধ্যে প্রবল মারামারি হয়, যার ফলে শেষমেশ সমিরন পালিয়ে যায়। এরপর রায়ান পারুলের গলায় জড়ানো ওড়না খুলে তাকে বাঁচায়। ঠিক তখনই শিরিন এসে উপস্থিত হয় এবং রায়ান ও পারুলকে একসঙ্গে দেখে হতভম্ব হয়ে যায়।

এই ঘটনার পর গল্প এগিয়ে যায় নতুন এক চ্যালেঞ্জের দিকে। শহরের বিভিন্ন কলেজের মধ্যে এক বড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, যেখানে নানা ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এতদিন রায়ান তার কলেজের জন্য খেলাধুলার প্রতিটি ইভেন্টে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী কলেজের ছাত্ররা দাবি করেছে, শুধু ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জেতাই আসল নয়, প্রকৃত প্রতিভা প্রকাশ পায় ক্যুইজ প্রতিযোগিতা-তে। তাদের বক্তব্য, রায়ানের দল কখনোই বুদ্ধির লড়াইয়ে জয়ী হতে পারবে না, কারণ তারা Bright Minds ক্যুইজ প্রতিযোগিতায় কখনো জিততে পারেনি। ফলে এবার নতুন এক লড়াই শুরু হয়েছে, যেখানে শারীরিক শক্তির পাশাপাশি বুদ্ধিরও পরীক্ষা দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ “উত্তেজনা থেকেই হয়ত এমন মন্তব্য, রুক্মিণী নিজেও পরে বুঝবে”! ও আমার থেকে অনেক জুনিয়ার তো! বড় দিদির মতো করেই রুক্মিণীকে জবাব দিলেন শুভশ্রী!
অন্যদিকে, পারুল শহরের একটি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে চায়। কিন্তু তার মা একা যেতে দিতে নারাজ। এমন সময় গোপাল এসে জানায়, সে পারুলের সঙ্গে যাবে এবং সে আজকের জন্য স্কুল থেকে ছুটি নিয়েছে, যাতে পারুলের পাশে থাকতে পারে। অন্যদিকে দেখা যায় রুকু ভাদুকে থাপ্পড় মারে কারণ সে তার দাদাকে ভেড়া বলেছিল এবং রুকুর সাথেও ভাদু খারাপ আচরণ করেছিল সেই কারণে রুকু তাকে থাপ্পড় মারে এবং পরিষ্কার জানিয়ে দেয় ভবিষ্যতে ভাদু যদি আবারও তার সাথে সম্মান না দিয়ে কথা বলে তাহলে সে আবার থাপ্পর খাবে।
এরই মধ্যে কলেজের অধ্যাপক পারুলকে ফোন করে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। এখন বড় প্রশ্ন, পারুল কি পুরনো কলেজের হয়ে প্রতিযোগিতায় নামবে? সে কি তার যুক্তি ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কলেজের সম্মান রক্ষা করতে পারবে? এই উত্তরের জন্য দর্শকদের অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী পর্বের জন্য।