একটা কথা বলা হয়ে থাকে যে বাবা-মায়েরা আমাদের খারাপ চেয়ে কোনদিনও কিছু করে থাকেন না।হয়তো তাদের পদ্ধতিতে ভুল হতে পারে কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য কখনো সন্তানের প্রতি খারাপ হয় না। তারাও তো মানুষ, ভুল তো হতেই পারে কিন্তু জেনেশুনে আমি সন্তানের ক্ষতি করবো এরকমটা কোন বাবা-মাই ভাবতে পারে না।কিন্তু অনেক সময় ছোটবেলায় বিশেষ করে 13 থেকে 25 এই বয়সটাই আমরা বাবা-মায়েদের একটু ভুল বুঝি অনেক ক্ষেত্রে।
আসলে এই বয়সটা বয়ঃসন্ধি থেকে যৌবনে উত্তীর্ণ হওয়ার বয়স। প্রেম ভালোবাসা আসেই এই প্রকৃতির নিয়মে।আগেকার দিনে ছেলেমেয়েরা প্রেম করছে এটা জানতে পারলে বাবা মায়েরা প্রচন্ড কড়া শাসনে রাখতেন তবে বর্তমানে যুগ বদলেছে।এখনো ছেলে মেয়েদের প্রেমিক-প্রেমিকাকে যাচাই করেন বাবা মা, কখনো প্রত্যক্ষ ভাবে কখনো পরোক্ষভাবে।অবশ্য সেই ছেলে মেয়ে যদি পালিয়ে যায় তাহলে সেটা আলাদা কথা কিন্তু ভালো করে না দেখে কখনো ছেলে মেয়ের জীবন সঙ্গী হিসেবে যে কাউকে নিয়ে আসতে পারেন না বাবা মায়েরা।
আমাদের টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অবশ্য ব্যাপারটা একটু আলাদা। এখানে মোটামুটি যারা যাদেরকে পছন্দ করেন এবং প্রেমে করেন সবকিছুই বাবা মায়েরা মেনে নিতে বলা যেতে পারে বাধ্য হন।তবে এমন অনেক তারকা রয়েছেন যারা অভিনয় জগতের প্রথম দিকে অভিনয়ে আসার আগে এমন কিছু কান্ড ঘটে রেখেছেন যার জন্য এখনও আক্ষেপ করেন এবং বলেন যে বাবা মায়ের কথা যদি শুনতাম তাহলে ভালো হত।
এরকমই একজন অভিনেত্রী হলেন পায়েল দেব। যাকে আমরা এখন আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয় সিরিয়ালে মুমু দিদির চরিত্রে দেখছি। মূলত এই চরিত্র থেকেই তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। বেশ কয়েকদিন আগে তিনি দিদি নং ওয়ান এসেছিলেন এবং সেখানে তিনি এবং তার মা ভাগ করে নিয়েছিলেন তাঁর জীবনের দুঃখের কথা।
বর্তমানে সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে মুমু সুমনকে বিয়ের জন্য পাগলামো করছে।নিজের শ্বশুর বাড়ির লোকের কথায় উঠছে বসছে কিন্তু নিজের বাবা-মাকে দুরছাই করছে।বিয়ে হয়নি এখনই এত বাড়াবাড়ি করছে তাহলে বিয়ের পরে কী হবে? এরকমটাই বলছেন দর্শকরা এবং মুমুর ওপর তারা খুব বিরক্ত। কিন্তু জানা গেল যে পায়েল নিজের জীবনে এই একই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
বর্তমানে তার যে বয়ফ্রেন্ড আছে তার নাম শেখর ট্যান্ডন এবং আজ তাদের সম্পর্কের এক বছর পূর্ণ হল।এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা গেছে যে বর্তমানে সুমনের চরিত্রে যিনি অভিনয় করছেন সেই অর্কজ্যোতি পাল চৌধুরীর সঙ্গে একটা সময় পায়েলের সম্পর্ক ছিল। এছাড়াও তার আগে তার একটা সম্পর্ক ছিল এবং সেই নিয়েই তিনি দিদি নং ওয়ানে মুখ খুলেছেন।
দিদি নং ওয়ানে পায়েলের মা বলেন যে অভিনয়ে আসার পরেই একটা খারাপ ছেলের পাল্লায় পড়ে ছিল পায়েল কিন্তু তাকে তখন মা বাবার তরফ থেকে বোঝালেও পায়েল বোঝে নি বরং বাবা-মার সঙ্গে প্রচন্ড খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেছিল সে। পায়েল নিজে কাঁদতে কাঁদতে বলেন যে,আমাকে তখন যেই এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে বলছিল আমি তাদের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিচ্ছিলাম এবং সবার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেছিলাম। পরে সে যখন একটা অন্য মেয়ের জন্য আমাকে ছেড়ে গেল আমি বুঝলাম আমি কতটা ভুল করেছি।
এই ইমোশনাল এপিসোড দেখে সকলের দু চোখে জল চলে এসেছে যদিও অনেকেই বলতে শুরু করেছেন যে নিজের বাস্তব জীবনের ক্যারেক্টার টাই তাহলে পায়েল মুমু দিদির মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন। এখন মুমু দিদির সঙ্গে সুমনের বিয়েটা কি হবে সেটাই দেখার।