একটা সময়ে দর্শকমহলে ‘উচ্ছে বাবু সন্দেশ’ নিয়ে শুরু হয়েছিল মাতামাতি। সন্দেশের নামই প্রধানত এই মিষ্টির আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। জি বাংলার মিঠাই রানী তার স্বামী সিদ্ধার্থকে যে নামে ডাকে, মিষ্টির মাধ্যমে সেই নাম একটা সময়ে মিষ্টিপ্রেমীদের মুখে মুখে ঘুরছিল। তখন চারিদিকে শুধুই উচ্ছে বাবু সন্দেশের বাজার।
মূলত মনোহরাতে এই ধরনের মিষ্টি বানিয়ে একটা প্রতিযোগিতায় জিতে গিয়েছিল মিঠাই। তখন মনোহরাতে পাওয়া গেলেও তারপর ধীরে ধীরে মিঠাইয়ের মাধ্যমে এই নাম বহুল প্রচারিত হয়ে যায় বাঙালি দর্শকদের মধ্যে।
ধীরে ধীরে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানেও ছড়িয়ে পড়ে এই মিষ্টির নাম। সেই থেকে উচ্ছে বাবু আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে জি বাংলার মিঠাই আর উচ্ছে বাবু শুধুমাত্র এখন ধারাবাহিকে আটকে নেই। তারা একেবারে অন্য ধারায় দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আসলে এটা এখন খুব সাধারন ব্যাপার হয়ে গিয়েছে যে কোন অভিনেতা বা অভিনেত্রী তারকা হয়ে উঠলে তাকে কেন্দ্র করে আলাদা ধরনের উন্মাদনা তৈরি হয় অনুরাগীদের মধ্যে। ঠিক এখন সেটাই হয়েছে আদৃত রায়কে কেন্দ্র করে। উচ্ছে বাবু সন্দেশের পর একসময় আবার ভাইরাল হয়ে ওঠে উচ্ছে বাবু ফুচকা। সবুজ রঙের এই ফুচকা রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেটাও পাওয়া যাচ্ছিল কলকাতাতে।
কিন্তু এবার এই সবের ঊর্ধ্বে উঠে সামনে এলো উচ্ছে বাবু ট্যাক্সি। হ্যাঁ, এই ছবিটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ভাইরাল হয়েছে। একটা ট্যাক্সি যা সবুজ রঙের দেখতে পাওয়া গিয়েছে কলকাতার বুকে সেটাই এখন মাতিয়ে রাখছে নেট দুনিয়াকে।
যদিও ট্যাক্সিচালক নিজেই এই সবুজ রং করেছেন নাকি ছবিটি এডিট করে তাতে সবুজ রং চাপানো হয়েছে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য এখনো জানতে পারা যায়নি। তবে নেট দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই এটা নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে গেছে।
বহু মানুষ বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট করেছে এই সবুজ ট্যাক্সিকে ঘিরে। অনেকেই বলছে তারা এই উচ্ছে বাবু ট্যাক্সিতে চড়তে চায়। এবার পুজোয় তাহলে আপনিও এই উচ্ছে বাবু ট্যাক্সিতে ঘুরেই করুন দূর্গা দর্শন।