আজ থেকে নয় মাস আগে জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছিল পিলু। দাদুর অপারেশন করার জন্য টাকা জমাতে বলে কলকাতায় গান শিখতে এসেছিল পিলু। কিন্তু এখন পিলু সবকিছু ভুলে গেছে। মাথাতে ঘোমটা দিয়ে সে খালি সবকিছু ম্যানেজ করতে যায়। গান তো উবে গেছে সিরিয়াল থেকে। তবে জানুন নতুন সুখবর।
পিলু ধারাবাহিকে আস্তে আস্তে রঞ্জা এবং মল্লার এর মধ্যে সবে মিল শুরু হয়েছিল। তারপরে পরিবারের তরফ থেকে তাদের জন্য বিয়ের আয়োজন করা হয়। পরপর বেশ কয়েকদিন ধরে বিয়ের নানান অনুষ্ঠানও চলছিল ধারাবাহিকে। পুরো পরিবারের সঙ্গে রঞ্জা, মল্লার, পিলু, আহির সবাই খুবই আনন্দে ছিল।
কিন্তু হঠাৎই এক ভিলেনের আবির্ভাব হয় তাদের জীবনে। তার নাম বিন্দি, যে বাঙালি নয় কিন্তু সে দাবী করে যে তাকে মল্লার একসময় বিয়ে করেছে। সেই বিয়ের প্রমাণ স্বরূপ সে ছবিও দেখায়। সেই ছবির কারণে মল্লার এবং রঞ্জার বিয়েটা ভেঙে যায়।
কিন্তু পিলু, আহীর, রঞ্ঝা কারোরই এই প্রমাণে বিশ্বাস হয় না তাই তারা বিন্দির বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে লেগে পরে। বেনারসে গিয়ে তারা প্রমাণ জোগাড় করে ফেললেও বিন্দি তাদেরকে মাত দিয়ে দেয়। এবং মল্লারকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করিয়ে দেয়।এবং প্রমাণ করতে চায় যে রঞ্জার মানসিক সমস্যা রয়েছে।
সেই চালেই তাকে ধরতে পিলু এবং রঞ্ঝা একটা বুদ্ধি করে ফাঁদ পাতে। তাতেই আসন্ন পর্বে বিন্দি ধরা পড়বে দেখা যাচ্ছে । পরবর্তী পর্বে পিলুতে দেখা যাবে যে মানসিক চিকিৎসালয়ে রঞ্জা রয়েছে এবং তাকে দেখতে আসে বিন্দি। আর সেখানে এসেই নিজের চালে ধরা পড়ে যায় নিজেই। সে রঞ্জার সাথে যখন তর্ক করছিল সেই সময় আহির এবং পিলু পুলিশ নিয়ে আসে এবং তাকে ধরিয়ে দেয়। এরপরেই বিন্দি রঞ্জার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে যে ‘ছোড়ো মুঝে’ ‘রঞ্ঝা তুমি বিন্দিকে এইভাবে হারাতে পারবে না’, বিন্দির দিকে তাকিয়ে তখন রঞ্জা আরো রেগে যায়।
এবার সকলের মনে খুব আনন্দ হচ্ছে কারণ এবার নিশ্চয়ই পিলু কে ফোকাস করতে বাধ্য চ্যানেল। এমনিই নবাব নন্দিনী হারিয়ে দিয়েছে। এবার পিলুকে ফোকাস না দিলে শেষ করতে বাধ্য হবে চ্যানেল।