জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

শ্বশুরবাড়ির মন রাখতে টেসের কুটনামিতে অস্থির হয়ে নিরামিষাশী পিঙ্কিজি নাকে কাপড় চাপা দিয়ে পমফ্রেট মাছ ভাজল সকলের জন্য! ‘মেয়েরা সব পারে তবে টেসকে এবার শাস্তি দেওয়া উচিত’, বক্তব্য কিছু নেটিজেনের

মেয়েরা নাকি সব করতে পারে এরকমটাই বলা হয়। সেটা হয়ত কিছুটা সত্যি কিন্তু তার মানে এই নয় যে,মেয়েরা সব অন্যায় মেনে নেবে। ধারাবাহিকেও নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে দেখানো হয় কিন্তু পরে দেখা যায় শ্বশুরবাড়িতে পরোক্ষভাবে অত্যাচারের স্বীকার হচ্ছে মেয়েরা। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, তাদের মানিয়ে নিতে বলা, সব কাজ তাদেরকে দিয়ে করানো, এসব দেখানো হয় ছদ্ম প্রোগেসিভনেস দেখিয়ে।

বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাইতেও কিন্তু এটা দেখানো হয়। মিঠাই সবসময় বাড়ির সব কাজ করে, আবার বেস কিচেনেও যায়। মাঝেসাঝে ঠাম্মি সাহায্য করে আর পিপি আসে। তা বাদে হল্লা পার্টির কেউ এসে হাত লাগায় না কিন্তু তারা মনোহরাতে এসে পড়ে থাকে। এই জিনিসটা নিয়ে স্বাধীনচেতা মেয়েদের অনেক আপত্তি আছে। তবুও গল্প দেখানোর গুণে অদ্ভুত লাগে না সবসময়।

এবারে আবার দেখানো হল যে, শ্বশুরবাড়ির ভালোর জন্য পিঙ্কিজি নিরামিষাশী হয়েও মাছ ভাজছেন। যদিও বাকিরা কেউ কিছু বলেনি তবে কাকিমা আর টেস বাড়াবাড়ি করে এটা নিয়ে। আজ টেসের কথা শুনে সে ইউটিউব দেখে নাকে কাপড় দিয়ে পমফ্রেট ভাজল। সেটা বাড়ির সকলকে খাওয়াল। পিঙ্কিকে মাছ ভাজতে দেখে চোখ কপালে মোদক পরিবারের।

pinki ji mithai
এখানেই অনেকে প্রশ্ন তুলছে এটা কেন হবে? টেসকে কেন কিছু বলা হবে না? শ্বশুরবাড়ি এসেছে বলে সবসময় একটা বৌকেই কেন কম্প্রোমাইজ, অ্যাডজাস্ট করতে হবে?

Piya Chanda