জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

আবেগ বা প্রাণশক্তি নাকি আর দেখা যাচ্ছে না রচনার উপস্থাপনায়! রাজনৈতিক দলের মুখ হতেই দিদি নাম্বার ওয়ান-এর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে! তবে কি এবার মুখ বদল হবে রচনার?

দম ফেলার সময় যেন নেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনে। এক দিকে তিনি জনপ্রিয় টেলিভিশন রিয়্যালিটি শো ‘দিদি নং ১’-এর প্রাণভোমরা, অন্য দিকে হুগলির সাংসদ হিসেবে ব্যস্ত রাজনৈতিক দায়িত্বে। ফলে সকাল থেকে রাত—স্টুডিও আর জনসভা, এই দুই মঞ্চের মধ্যে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, এই অতিরিক্ত চাপ কি রচনার সঞ্চালনা দক্ষতায় প্রভাব ফেলছে?

টেলিপাড়ার একাংশের দাবি, আগের মতো আবেগ বা প্রাণশক্তি নাকি আর দেখা যাচ্ছে না রচনার উপস্থাপনায়। আগে তিনি যে সহজভাবে প্রতিযোগিনীদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় মেতে উঠতেন, এখন নাকি সেই উষ্ণতা কিছুটা কমে গিয়েছে। কারণ, এখন তিনি রাজনৈতিক মুখ—তাই অনেক কথা বলতে হয় ভেবে-চিন্তে। এমনকি প্রতিযোগিনীরাও নাকি আগের মতো মন খুলে নিজেদের গল্প বলতে পারছেন না, যেন কোথাও একটা সংযমের পর্দা নেমে এসেছে শোয়ের আবহে।

তবে কাজের ক্ষেত্রে কোনও অবহেলা করছেন না রচনা। নিয়মিত শুটিংয়ে উপস্থিত থাকেন তিনি, এমনটাই জানাচ্ছেন সেটের মানুষজন। যদিও শোনা যাচ্ছে, বিশ্রামের অভাব ও লাগাতার ব্যস্ততা তাঁর মনোযোগে কিছুটা প্রভাব ফেলছে। একই সঙ্গে, রেটিং চার্টেও নাকি সেই ছাপ খানিকটা ধরা পড়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন যখন শো-এর পরিচালক অভিজিৎ সেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে, তিনি সাড়া দেননি। তবে টেলিপাড়ার এক নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিত্ব জানান, রচনার মধ্যে মানসিকভাবে কিছু পরিবর্তন এসেছে, যা সেটেও অনেকের নজরে পড়েছে। যদিও এর মধ্যেও ‘দিদি নং ১’ গত দু’সপ্তাহ ধরে রেটিং চার্টে শীর্ষে, অর্থাৎ দর্শক এখনও রচনার মঞ্চেই ভরসা রাখছেন।

শোনা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে রচনা কিছুদিন ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় শো পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর টিমের হাতে পড়েছিল। সামান্য অনুপস্থিতিতেই নাকি প্রভাব পড়েছিল পর্বের মানে। পরিচালকের নজর এড়ায়নি সেটি। তাই এখন রচনাও, পরিচালকও—দু’জনেই নতুন উদ্যমে মঞ্চে ফিরেছেন। দর্শকের ভালবাসা ফের আগের মতো উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তুলতে তাঁরা যে প্রস্তুত, তাতে সন্দেহ নেই!

Piya Chanda