মানুষের বিনোদনটা খুব দরকার দৈনন্দিন জীবনে। সারাদিন বাড়ির কাজ, অফিসের কাজ সবকিছু করে সাধারণ মানুষ আর পারেনা।সন্ধ্যা বেলাটা তাই একটু আয়েশ করে বসে মানুষ টিভি দেখে।বাইরে যাওয়ার অপশন তো খুব একটা এখন নেই তাই টিভিটাই মানুষের অবসর যাপনের সঙ্গী। বিশেষ করে যারা অবসরপ্রাপ্ত তাদের জন্য টিভিটা একটা বিশাল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।
সিরিয়াল গুলোর মধ্যে জি বাংলার সবথেকে জনপ্রিয় সিরিয়াল হলো মিঠাই। এর পরেই যে সিরিয়ালটা জি বাংলায় সব থেকে বেশি জনপ্রিয় সেটা হলো এই পথ যদি না শেষ হয়। এই সিরিয়ালে উর্মি এবং সাত্যকির খুনসুটি দেখতে সাধারণ মানুষ ভীষণ ভালোবাসেন। তথাকথিত পারিবারিক কূটকচালি এই সিরিয়ালে নেই। তাই বলে কি এখানে কোন ভিলেন নেই? একদম ভিলেন ছাড়া কোন সিরিয়াল কি সম্ভব?
অবশ্যই এই সিরিয়ালে ভিলেন রয়েছে। যেরকম এই সিরিয়ালে রয়েছে উর্মির কাকা মামণি। উর্মির কাকা মামণি প্রচন্ড শয়তানি করেন। বর্তমানে আমরা তাদেরকেই সিরিয়ালে মেন ভিলেন হিসেবে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু আরেক জন ভিলেনকে আমরা কিন্তু ভুলে গেছি।
সেই ভিলেনকে উর্মি মেরে দিয়ে বিদায় করে দিয়েছে। আশা করি বোঝা যাচ্ছে যে কার কথা বলা হচ্ছে। সে হলো রিনি। মিমির বেস্ট ফ্রেন্ড এবং টুকাইদাকে যে ভালোবাসতো। উর্মিকে সমানে বিরক্ত করা ছিল তার কাজ। উর্মিকে হটিয়ে দিয়ে সে টুকাইদার বউ হতে চাইতো। তবে পরবর্তী কালে তার কুকীর্তি ধরা পড়ায় তাকে সরকার বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়।এবার আসল কারণ হলো রিনি চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছিলেন সেই মিশমী দাস বিরতি নিয়েছিলেন সিরিয়াল থেকে।
তবে এবার মনে হচ্ছে আবার রিনি ফিরতে চলেছে এই সিরিয়ালে।তার কারণ হলো আমরা জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড এর রিনিকে দেখতে পাইনি ঠিকই কিন্তু গতকাল ইকোপার্কে ছিল এই জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ডের আফটার পার্টি। সেখানে আমরা এই পথ যদি না শেষ হয় টিমের সঙ্গে দেখতে পেলাম রিনিকে। নীল রঙের পোশাকে রিনিকে লাগছিল মিষ্টি।
এই ছবিটা দেখে মনে করা হচ্ছে যে রিনি খুব সম্ভবত ফিরতে পারে সিরিয়ালে।কাকা মামণির পর্দা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ভিলেন হিসাবে আবার আসবে রিনি। সেজন্য তাকে গতকাল এই পথ যদি না শেষ হয় টিমের সঙ্গে দেখা গেছে।