দু’বছর আগে এমন একটা সময় ছিল যখন স্টার জলসার খড়কুটো সিরিয়াল দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিল। সৌজন্য এবং গুনগুনের জুটি সাধারণ মানুষের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার স্লটে হওয়ায় সিরিয়াল খুব অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু পরবর্তীকালে গল্পে একঘেয়েমি বাড়তে থাকে। অনিক অতিরিক্ত চরিত্রকে ঢোকানো হয়। গুনগুন সৌজন্যের মাঝে নিয়ে আসা হয় তিন্নিকে। সব মিলিয়ে দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নেন এই সিরিয়াল থেকে আর তার কারণে টিআরপি কমতে কমতে এই সিরিয়াল ছিটকে যায় এক থেকে দশের তালিকা থেকে। এরপর দুপুর দুটোর সময় নিয়ে আসা হয় খড়কুটোকে। এখনো এই সিরিয়ালের বেশকিছু লয়্যাল দর্শক আছেন যারা রোজ দুপুরে সিরিয়ালটি দেখেন।
সম্প্রতি আবার আলোচনার শিরোনামে উঠে এসেছে এই সিরিয়াল। পটকার মেয়ে সাজির কষ্টের কাহিনী নিয়ে এখন সিরিয়ালে বিভিন্ন দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। সাজির বদমাশ স্বামী স্রোত তাকে পর পুরুষের হাতে তুলে দিয়ে বিক্রি করে দেয়। সাজি সেখান থেকে বেরিয়ে আসে এবং পরে স্রোতকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়ে সাজি।
তার পাশে দাঁড়ায় পুরো পরিবার। পটকা তাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকেন, তুমি তো ইচ্ছা করে করোনি এটা।গুনগুন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সে তার ড্যাডির দেওয়া 5 লাখ টাকা ঠিক ফিরিয়ে নিয়ে আসবে স্রোতের কাছ থেকে।
আর বিগত দু’দিনের এপিসোড দেখে দর্শকরা বলছেন যে সাম্প্রতিক অতীতের এপিসোডগুলোর মধ্যে এই এপিসোডগুলো এখনো পর্যন্ত সেরা। সাজি নিজের জীবনের সেরা অভিনয় করেছে এই দুটো এপিসোডে। যদি এরকমই দৃশ্য বা গল্প দেখানো হতো তাহলে খড়কুটো বোধহয় টিআরপি রেটিং তালিকা থেকে বেরিয়ে যেত না।